রেজাউল মোল্লা, গাজীপুর থেকে:
গাজীপুরে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলছেন, এবারের দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। সেই সঙ্গে দ্রব্যমূল্য শিগগিরই সহনীয় পর্যায়ে আসবে। পূজায় পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি এবার অতিরিক্তভাবে র্যাব, বিজিবি এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ফলে পূজার আয়োজন নিয়ে কোনো ধরনের অসুবিধার শঙ্কা নেই। প্রতিটি পূজা উৎসবেই নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় কাজ করে যাচ্ছে, এবারও করবে। তবে সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ উৎসব উদযাপন করতে পারব। তবে জনগণের সহযোগিতাও কামনা করছি।
মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুর মহানগরীর জয়দেবপুরে কালীমন্দির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাজার সিন্ডিকেটের বিষয়ে বলেন, বাজার পরিস্থিতি শিগগিরই সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে বলে আশা করছি। সিন্ডিকেট থাকলে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তা ভেঙে দেবে। জনগণের স্বস্তির জন্য সরকার আস্তরিকভাবে কাজ করছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের ব্যাপারে তিনি সাংবাদিকদের সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গুজব প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গাজীপুরে যদি কোনো সমস্যা হয়ে থাকে, তা সঠিকভাবে তুলে ধরুন। এতে জনসচেতনতা বাড়বে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে। মব কালচার আগেও ছিল, এখনো আছে। তবে জনসচেতনতা বাড়ানো এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা তা রোধ করতে পারে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সচিব ড. মো. এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, পুলিশ কমিশনার খন্দকার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সাবেক ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হান্নান মিয়া হান্নু, মহানগর পূজা উৎযাপন কমিটি সভাপতি অনুরুন কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক নারায়ন কুমার দাস, কেন্দ্রীয় মন্দির কমিটির আহবায়ক মন্দ্রি মন্ডল ও সদস্য সচিব বাপ্পি দে প্রমুখ।
এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তিনি গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এর সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন। এ উপলক্ষে ব্রি মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় কৃষি জমি রক্ষায় গুরুত্বারোপ করে বলেন, কৃষি জমি নষ্ট করা যাবেনা। মতবিনিময় সভার সভাপতি ব্রির মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ খালেকু জ্জামান। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহমিয়ান।
এছাড়া বারি উদ্ভাবিত কৃষি প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি এবং উদ্ভিদজাত পণ্যের প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। পরে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসময় তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দেশের জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি, আর এখন তা অনেক বেড়ে গেছে। কিন্তু আবাদযোগ্য জমি বাড়েনি।