কেন্দ্রীয় সমিতি ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ইটভাটায় মোবাইল কোর্ট, জরিমানা, ভাংচুর বন্ধের প্রতিবাদে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং মাননীয় উপদেষ্টা, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বরাবর বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি, শরীয়তপুর জেলা শাখা । তারিখ: ১১ মার্চ ২০২৫ মঙ্গলবার সকাল ১০ ঘটিকা স্থান: জেলা প্রশাসক কার্যালয়।শরীয়তপুর জেলা ইট ভাটা মালিক সমিতি স্থাপিতঃ ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দ পশ্চিম কোটাপাড়া, সদর, শরীয়তপুর, তারিখঃ ১৯/০৯/২০২৫ বরাবর স্মারকলিপি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং মাননীয় উপদেষ্টা, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় মাধ্যম- শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং মাননীয় উপদেষ্টা পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, যথাবিহিত সম্মান পূর্বক নিবেদন এই যে, আমরা বাংলাদেশের ইটভাটা মালিকগন বিগত ৩৫/৪০ বৎসর যাবৎ অনেক প্রতিকুলতার মধ্যে দিয়ে ইটভাটার ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছি। দেশের রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ী সহ সকল অবকাঠামো নির্মানে ব্যবহৃত ইট সরবরাহ করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছি। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সমতা রেখে আমরা ইটভাটার মালিকগন বায়ুদূষণ রোধে সরকার নির্দেশিত আধুনিক প্রযুক্তির ডিপজাগ ভাটা স্থাপন করি যাহা জ্বালানী সাশ্রয়ী, পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি, ও উপমহাদেশে টেকসই এবং সহজ প্রযুক্তি হিসাবে পরিচিত। বর্তমানে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে এখন দেশের ইটভাটা সমহ মাত্র ৫-১০% বায় দখন করছে, জৈব বস্ত্র পোড়ানোতে ৪০% এবং যানবাহনের কালো ধোয়া ৫০% (দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা ০৬-০৩-২০২০-২০ তারিখে প্রকাশিত রিপোর্টে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের নোয়ন বিভাগের জরিপ)। পূর্বে ইটভাটার দূষনমাত্রা ছিল ৫৮%। বিদ্যমান জিগজাগ উঠায় আরও অধিকতর উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিবেশ দূষণ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। এই শিল্পে প্রায় ৫০ লক্ষ শ্রমিক কর্মরত আছে এবং ৫০ লক্ষ পরিবার তথা ২ কোটি মানুষের রুটি বোজীর ব্যবস্থা আমরাই করেছি, ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেলে এই লোকগুলো বেকার হয়ে পড়বে। এছাড়াও প্রায় প্রতিটি ইচ্যাটার বিপরীতে ১ কোটি টাকার উপরে ব্যাংক লোন যা প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা এই ভাটা সমূহ বন্ধ হয়ে গেলে সমুদয় ব্যাংক লোন অনাদায়ী থেকে যাবে। ইটভাটার মালিকগণ বছরে হাজার হাজার কোটি টাকার অধিক রাজস্ব দিয়ে থাকেন। মাননীয় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান অত্যান্ত আন্তরিক হলেও বর্তমান আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারনে জিগজাগ ইটভাটার সমস্যা সমাধান হচ্ছে না। আমরা আশা করছি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং মাননীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার মাধ্যমেই ইটভাটা পরিচালনার একটি যুক্তিক সমাধান হবে। সবার আগে ড্রাম চিমনী, ফিক্সড চিমনী ও লাকড়ী দিয়ে পোড়ানো ইটভাটা সম্পূর্ণ বন্ধ করা সিদ্ধান্তে মাননীয় উপদেষ্টার সাথে আমরা একমত পোষন করেছি কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাহা না করে তার বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়ে বৈধ পদ্ধতির জিগজাগ ইটভাটায় জরিমানা ও ভাংচুর করছেন। আমরা কোন অবস্থাতেই এই সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ঠেলে দিতে চাই না কিন্তু বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের মদদপুষ্ট বসুন্ধরা, কনকর্ড সহ আধিপত্যবাদী প্রতিষ্ঠান সমূহ ইট শিল্পকে বংশের দিকে ঠেলে দিচ্ছে এবং বর্তমান সরকারের মখোমুখি আমাদেরকে দাড় করানোর চেষ্ঠা করছে। জিগজাগ ইট ভাটা বন্ধের প্রতিবাদ এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রন) আইন ২০১৩ এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রন (সংশোধন) আইন ২০১৯ এ বর্ণিত জিগজ্যাগ ইটভাটার ছাড়পত্র ও গাইসেন্স প্রাপ্তির জটিলতা নিরসনের জন্য বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির বক্তব্য ও প্রস্তাব নিনো উল্লেখ করছিঃ ১। ২০১৩ সনের ইটভাটা নিয়ন্ত্রন আইনের জিগজাগ ভাটা বৈধ পদ্ধতির উল্লেখ থাকলেও উক্ত আইনের ৮(৩) (৫) এবং ৮ (৩) (খ) উপ-ধারায় “দূরত্ব নির্দিষ্ট” করনের কারনে দেশের কিছু জিগজাগ ইটভাটার মালিকগণ ছাড়পত্র ও লাইসেন্স পাচ্ছেন না। ইতোমধ্যে পনিবেশ অধিদপ্তর হাইব্রিড কিলন এবং ট্যানেল কিলন এর ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ এলাকার দুরত্ব ১০০০ মিটারের পরিবর্তে ৪০০ মিটার নির্ধারন করেছে সুতরাং আমাদের জিগজ্যাগ ভাটার জন্য উক্ত আইনের ৮ (৩) (ঙ) ধারায় নিষিদ্ধ এলাকার দুরত্ব ৪০০ মিটার এবং আইনের ৮ (৩) (খ) এ বনের দুরত্ব ৭০০ মিটার করে লাইসেন্স ও ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিপত্র জারীর মাধ্যমে পরিচালনা করার সুযোগ প্রদানের আবেদন জানাচ্ছি। ২। জিগজাগ ইটভাটায় কোন প্রকার হযরানী বা মোবাইল কোর্ট করা যাবে না, তাহা না হলে আমরা ভ্যাট টেক্স দেয়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবো। ৩। কোন ইটভাটা বন্ধ করতে হলে সরকারী ভাবে আর্থিক ক্ষতিপুরন দিয়ে বন্ধ করতে হবে। ৪। মাটি কাটার জন্য ডিসির প্রত্যয়নপত্র নেয়ার বিধান বাতিল করতে হবে। ৫। পরিবেশগত ছাড়পত্র, ডি.সি লাইসেস, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স সহ অন্যান্য কাগজপত্রাদি ইস্যু/নবায়নের সময় কেন্দ্রীয় ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির প্রত্যয়ন পত্র বাধ্যতামূলক ভাবে জমা দেয়ার বিধান করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ করছি। ৬। ইটভাটাকে শিল্প হিসাবে ঘোষনা দেয়ার দাবী করছি। ৭। ইটভাটা পরিচালনায় দীর্ঘ মেয়াদী পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রনয়ন করতে হবে। উপরোক্ত দাবী সমূহ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে আলোচনায় না বসলে ঈদের পরে ঢাকায় মহাসমাবেশ এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান করার ঘোষণা না দিচ্ছি। ধন্যবাদান্তে, (আঃ জলিল খান) সভাপতি বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি শরীয়তপুর জেলা শাখা।
শিরোনাম :
শরীয়তপুরের ইট ভাটায় মোবাইল কোট জরিমানা ভাংচুর বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রধান
-
শরীয়তপুর প্রতিনিধি :
- আপডেট টাইম : ০৯:৪৪:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
- ৭৭০ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ