ঢাকা ০৬:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা মামলা করায় বাদী কারাগারে মাগুরা জেলা পুলিশের উদ্যোগে হাজীপুর ইউনিয়নে সিসিটি টিভি ক্যামেরা চালু মির্জাগঞ্জে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক ইরানে চলমান সংঘাত নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগ প্রকাশ কালিহাতীতে কেন্দ্রীয় সাধু সংঘে সবুজায়ন সমাজ কল্যাণ সংস্থার বৃক্ষরোপণ আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা পাবে : আমিনুল হক কাতার সিরিয়া ও ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করেছে ইরান যুদ্ধ শেষ করতে চায় ইসরায়েল, চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইরানের ইরানের জনগণকে সাহায্য করতে প্রস্তুত রাশিয়া: পুতিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আসনভিত্তিক জরিপ চালাচ্ছে বিএনপি

মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা মামলা করায় বাদী কারাগারে

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মিথ্যা মামলা করায় মোসাঃ হালিমা বেগম (৩৬) নামে এক গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

বুধবার (২৪ জুন) রাত দুইটার দিকে উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের দক্ষিন রামপুর গ্রামের আসামির নিজ বসত ঘর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের আবুল বাশারের স্ত্রী। ভুক্তভোগী একই গ্রামের আব্দুল মজিদ হাওলাদার (৪৫) এর দায়ের করা কাউন্টার মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারী মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ রামপুর গ্রামের মৃত জহরুদ্দিন হাওলাদারের ছেলে আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে মির্জাগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করে হালিমা বেগম।

মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ঘটনার সময় আসামী মজিদ তার বসতঘরে ঢুকে তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক পড়নের পায়জামা খুলে ধর্ষনের চেষ্টা করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করে অভিযোগের কোনো সত্যতা না পেয়ে অভিযোগটি মিথ্যা বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন। কিন্তু বাদী হালিমা বেগম প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আপত্তি দাখিল করলে মামলাটি আরো গভীর তদন্তের জন্য সিআইডি পটুয়াখালীতে প্রেরন করা হয়। সিআইডি গভীর তদন্ত করে ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর মামলাটির চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। সেখানেও মামলার অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। পরে বিজ্ঞ আদালত ২০২৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ৩৩ নং আদেশের মাধ্যমে মজিদ হাওলাদারকে নির্দোষ ঘোষণা করে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন। ফলে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় গত ১৯ জুন মির্জাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মজিদ হাওলাদার।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম আহমেদ বলেন, বিজ্ঞ আদালত বাদীর বিরুদ্ধে মামলা রুজুর নির্দেশ দিলে, রুজু পূর্বক তাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা মামলা করায় বাদী কারাগারে

মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা মামলা করায় বাদী কারাগারে

আপডেট টাইম : ১২:৩৬:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মিথ্যা মামলা করায় মোসাঃ হালিমা বেগম (৩৬) নামে এক গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

বুধবার (২৪ জুন) রাত দুইটার দিকে উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের দক্ষিন রামপুর গ্রামের আসামির নিজ বসত ঘর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের আবুল বাশারের স্ত্রী। ভুক্তভোগী একই গ্রামের আব্দুল মজিদ হাওলাদার (৪৫) এর দায়ের করা কাউন্টার মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারী মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ রামপুর গ্রামের মৃত জহরুদ্দিন হাওলাদারের ছেলে আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে মির্জাগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করে হালিমা বেগম।

মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ঘটনার সময় আসামী মজিদ তার বসতঘরে ঢুকে তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক পড়নের পায়জামা খুলে ধর্ষনের চেষ্টা করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করে অভিযোগের কোনো সত্যতা না পেয়ে অভিযোগটি মিথ্যা বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন। কিন্তু বাদী হালিমা বেগম প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আপত্তি দাখিল করলে মামলাটি আরো গভীর তদন্তের জন্য সিআইডি পটুয়াখালীতে প্রেরন করা হয়। সিআইডি গভীর তদন্ত করে ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর মামলাটির চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। সেখানেও মামলার অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। পরে বিজ্ঞ আদালত ২০২৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ৩৩ নং আদেশের মাধ্যমে মজিদ হাওলাদারকে নির্দোষ ঘোষণা করে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন। ফলে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় গত ১৯ জুন মির্জাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মজিদ হাওলাদার।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম আহমেদ বলেন, বিজ্ঞ আদালত বাদীর বিরুদ্ধে মামলা রুজুর নির্দেশ দিলে, রুজু পূর্বক তাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।