ঢাকা ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সান্তাহারে বিএনপির ছত্রছায়ায় আ’লীগ পদধারী নেতারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮০ তম জন্মদিন উপলক্ষে মনপুরা উপজেলায় বিএনপির দোয়া মাহফিল দেশব্যাপী প্রতিভা খোঁজে ‘নতুন কুঁড়ি’ ফিরিয়ে আনবে বিএনপি : আমিনুল হক মাগুরার শ্রীপুরে বালু ফেলে জমি দখলের অভিযোগ ! মহম্মদপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অসহায়ত্ব প্রকাশ মাগুরায় মাই টিভির সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন মির্জাগঞ্জে বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত মাগুরা বিএডিসি গোডাউন থেকে ডিলারের নামে অবৈধ সার বিক্রি স্থানীয়দের হাতে ধরা, তদন্তে দুর্নীতি-সিন্ডিকেট টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় সমবেদনা, কূটনীতি ও সংহতির সমন্বয়ের আহ্বান কফিল উদ্দিন আহমেদের আল বটর বাহিনী ধর্মকে বিক্রি করছে, বিএনপি বিশৃঙ্খলাকে প্রশ্রয় দেয় না: আমিনুল হক

মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা মামলা করায় বাদী কারাগারে

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মিথ্যা মামলা করায় মোসাঃ হালিমা বেগম (৩৬) নামে এক গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

বুধবার (২৪ জুন) রাত দুইটার দিকে উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের দক্ষিন রামপুর গ্রামের আসামির নিজ বসত ঘর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের আবুল বাশারের স্ত্রী। ভুক্তভোগী একই গ্রামের আব্দুল মজিদ হাওলাদার (৪৫) এর দায়ের করা কাউন্টার মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারী মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ রামপুর গ্রামের মৃত জহরুদ্দিন হাওলাদারের ছেলে আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে মির্জাগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করে হালিমা বেগম।

মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ঘটনার সময় আসামী মজিদ তার বসতঘরে ঢুকে তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক পড়নের পায়জামা খুলে ধর্ষনের চেষ্টা করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করে অভিযোগের কোনো সত্যতা না পেয়ে অভিযোগটি মিথ্যা বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন। কিন্তু বাদী হালিমা বেগম প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আপত্তি দাখিল করলে মামলাটি আরো গভীর তদন্তের জন্য সিআইডি পটুয়াখালীতে প্রেরন করা হয়। সিআইডি গভীর তদন্ত করে ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর মামলাটির চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। সেখানেও মামলার অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। পরে বিজ্ঞ আদালত ২০২৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ৩৩ নং আদেশের মাধ্যমে মজিদ হাওলাদারকে নির্দোষ ঘোষণা করে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন। ফলে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় গত ১৯ জুন মির্জাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মজিদ হাওলাদার।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম আহমেদ বলেন, বিজ্ঞ আদালত বাদীর বিরুদ্ধে মামলা রুজুর নির্দেশ দিলে, রুজু পূর্বক তাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সান্তাহারে বিএনপির ছত্রছায়ায় আ’লীগ পদধারী নেতারা

মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা মামলা করায় বাদী কারাগারে

আপডেট টাইম : ১২:৩৬:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মিথ্যা মামলা করায় মোসাঃ হালিমা বেগম (৩৬) নামে এক গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

বুধবার (২৪ জুন) রাত দুইটার দিকে উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের দক্ষিন রামপুর গ্রামের আসামির নিজ বসত ঘর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের আবুল বাশারের স্ত্রী। ভুক্তভোগী একই গ্রামের আব্দুল মজিদ হাওলাদার (৪৫) এর দায়ের করা কাউন্টার মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারী মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ রামপুর গ্রামের মৃত জহরুদ্দিন হাওলাদারের ছেলে আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে মির্জাগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করে হালিমা বেগম।

মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ঘটনার সময় আসামী মজিদ তার বসতঘরে ঢুকে তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক পড়নের পায়জামা খুলে ধর্ষনের চেষ্টা করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করে অভিযোগের কোনো সত্যতা না পেয়ে অভিযোগটি মিথ্যা বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন। কিন্তু বাদী হালিমা বেগম প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আপত্তি দাখিল করলে মামলাটি আরো গভীর তদন্তের জন্য সিআইডি পটুয়াখালীতে প্রেরন করা হয়। সিআইডি গভীর তদন্ত করে ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর মামলাটির চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। সেখানেও মামলার অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। পরে বিজ্ঞ আদালত ২০২৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ৩৩ নং আদেশের মাধ্যমে মজিদ হাওলাদারকে নির্দোষ ঘোষণা করে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন। ফলে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় গত ১৯ জুন মির্জাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মজিদ হাওলাদার।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম আহমেদ বলেন, বিজ্ঞ আদালত বাদীর বিরুদ্ধে মামলা রুজুর নির্দেশ দিলে, রুজু পূর্বক তাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।