ঢাকা ০৩:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জেলা জজের দুর্নীতি আড়াল করতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থমথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে চাকরি করে জাহিদুল পেয়েছে আলাদিনের চেরাগ বিভাগীয় মামলা নিষ্পত্তির পরও অফিসে অনুপস্থিত টেবুনিয়া বিএডিসি কর্মকর্তা পাবনার গণমানুষের অসাধারন এক অভিভাবকের নাম মফিজুল ইসলাম খাল পরিষ্কার অভিযানে আমিনুল হক: জনগণকে সঙ্গে নিয়েই পরিবর্তন সম্ভব আদমদীঘিতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুবদলের বৃক্ষরোপন পেশাজীবী পরিষদ পাবনা পৌরসভার উদ্যোগে রাসূল (সা:) প্রদর্শিত পানাহার পদ্ধতি শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত পাবনায় রনির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে মানববন্ধন

রাতে আটক যুবদল নেতা সকালে মৃত্যু, শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন!

রাজধানী শাহআলীতে গভীর রাতে বাসা থেকে সেনাবাহিনীর হাতে আটক এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। অমানবিক নির্যাতনের কারণে আসিফ শিকদার (২৩) নামের ওই যুবদল নেতা মারা গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। নিহতের শরীরে নির্যাতনের ক্ষতচিহ্ন থাকার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসক ও স্বজনেরা। আসিফ শিকদার রাজধানী মিরপুর ১ নম্বর নিউ সি ব্লকের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য (আহবায়ক কমিটি) শাহআলী থানা ছাত্রদল এবং সাবেক সদস্য সচিব ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড শাহআলী থানা ছাত্রদল বর্তমানে তিনি যুবদলের কমিটিতে ছিলেন।
এ বিষয়ে সোমবার শাহআলী থানা থেকে বলেন, সোমবার সকাল ৯টার দিকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে থানা পুলিশকে বলা হয় আসিফ শিকদারকে নেওয়ার জন্য। শাহআলী থানা পুলিশের কাছে আসিফ শিকদারকে হস্তান্তর করার কিছুক্ষণপরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁকে কেন আটক করা হয়েছিল বা কীভাবে তিনি মারা গেছেন, সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে খোঁজ নিয়ে বিরুদ্ধে কোনো মামলার তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। ঘটনার পর এ বিষয়ে যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য জানানো হয়নি।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এলাকাবাসি জানান, রবিবার দিবাগত রাত রাত আড়াইটার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাসার গেটে আসেন। তাঁদের সঙ্গে পুলিশের পোশাক পরা কাউকে দেখেননি, তবে সেনাবাহিনীর সাথে সাদা পোশাকে ৫/৭ যুবক ছিলেন। ঘরে প্রবেশ করেই তাঁরা আসিফ শিকদারকে আটক করেন। এরপর সবার কাছ থেকে মুঠোফোন কেড়ে নেন। ঘরে ব্যাপক তল্লাশি করেন। তবে কিছু পাননি। আসিফকে আটকের কারণ জিজ্ঞস করলেও তাঁরা কোনো উত্তর দেননি। একপর্যায়ে বাসার গেটের সামনে তাকে নির্যাতন করে। সেনাবাহিনীর সাথে কালো গেঞ্জিগায়ে একজন লোহার রড দিয়ে আঘাত করতে থাকে এবং মুখে দাঁড়ি নীল পাঞ্জাবি গায়ে একজন লোক কারেন্টের শক দিতে থাকে। ওই অবস্থায় যুবদল নেতা আসিফ শিকদারকে ফেলে রেখে যায় পরে শাহআলী থানার পুলিশ তাকে ভোর বেলা উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ঘটনা সুত্রে জানা যায় শাহআলী থানায় নিয়ে আসার কিছুক্ষণ পর অসিফ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
ঢাকা সোহরোওয়ার্দী হাসপাতালে আসার পর দেখা যায় আসিফ আর নেই। তাঁর কোমর থেকে পায়ের নিচ পর্যন্ত এমনভাবে পিটিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে যে কালো ফোলা জখমের চিহ্ন রয়েছে। পেট, বুক, পিঠ, পা, গলাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে শুধুই নির্যাতনের চিহ্ন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

জেলা জজের দুর্নীতি আড়াল করতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

রাতে আটক যুবদল নেতা সকালে মৃত্যু, শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন!

আপডেট টাইম : ০১:০৩:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

রাজধানী শাহআলীতে গভীর রাতে বাসা থেকে সেনাবাহিনীর হাতে আটক এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। অমানবিক নির্যাতনের কারণে আসিফ শিকদার (২৩) নামের ওই যুবদল নেতা মারা গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। নিহতের শরীরে নির্যাতনের ক্ষতচিহ্ন থাকার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসক ও স্বজনেরা। আসিফ শিকদার রাজধানী মিরপুর ১ নম্বর নিউ সি ব্লকের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য (আহবায়ক কমিটি) শাহআলী থানা ছাত্রদল এবং সাবেক সদস্য সচিব ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড শাহআলী থানা ছাত্রদল বর্তমানে তিনি যুবদলের কমিটিতে ছিলেন।
এ বিষয়ে সোমবার শাহআলী থানা থেকে বলেন, সোমবার সকাল ৯টার দিকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে থানা পুলিশকে বলা হয় আসিফ শিকদারকে নেওয়ার জন্য। শাহআলী থানা পুলিশের কাছে আসিফ শিকদারকে হস্তান্তর করার কিছুক্ষণপরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁকে কেন আটক করা হয়েছিল বা কীভাবে তিনি মারা গেছেন, সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে খোঁজ নিয়ে বিরুদ্ধে কোনো মামলার তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। ঘটনার পর এ বিষয়ে যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য জানানো হয়নি।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এলাকাবাসি জানান, রবিবার দিবাগত রাত রাত আড়াইটার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাসার গেটে আসেন। তাঁদের সঙ্গে পুলিশের পোশাক পরা কাউকে দেখেননি, তবে সেনাবাহিনীর সাথে সাদা পোশাকে ৫/৭ যুবক ছিলেন। ঘরে প্রবেশ করেই তাঁরা আসিফ শিকদারকে আটক করেন। এরপর সবার কাছ থেকে মুঠোফোন কেড়ে নেন। ঘরে ব্যাপক তল্লাশি করেন। তবে কিছু পাননি। আসিফকে আটকের কারণ জিজ্ঞস করলেও তাঁরা কোনো উত্তর দেননি। একপর্যায়ে বাসার গেটের সামনে তাকে নির্যাতন করে। সেনাবাহিনীর সাথে কালো গেঞ্জিগায়ে একজন লোহার রড দিয়ে আঘাত করতে থাকে এবং মুখে দাঁড়ি নীল পাঞ্জাবি গায়ে একজন লোক কারেন্টের শক দিতে থাকে। ওই অবস্থায় যুবদল নেতা আসিফ শিকদারকে ফেলে রেখে যায় পরে শাহআলী থানার পুলিশ তাকে ভোর বেলা উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ঘটনা সুত্রে জানা যায় শাহআলী থানায় নিয়ে আসার কিছুক্ষণ পর অসিফ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
ঢাকা সোহরোওয়ার্দী হাসপাতালে আসার পর দেখা যায় আসিফ আর নেই। তাঁর কোমর থেকে পায়ের নিচ পর্যন্ত এমনভাবে পিটিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে যে কালো ফোলা জখমের চিহ্ন রয়েছে। পেট, বুক, পিঠ, পা, গলাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে শুধুই নির্যাতনের চিহ্ন।