নাদিম আহমেদ অনিক,নিজস্ব প্রতিনিধি-
নওগাঁ পৌরসভার নাগরিক সভায় মানােনয়ন না করে অযৌক্তিক ভাবে কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষােভ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে।
রােববার (৩ আগস্ট) দুপুর ১২ টায় নওগাঁ শহরের মুক্তির মােড়ে পৌর ভবনের সামনে নাগরিক অধিকার আদােলন’র ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষাভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে নাগরিক অধিকার আদালনের আহ্বায়ক এস.এম আজাদ হােসের মুরাদ এর সভাপতিত্বে শিক্ষক জাহিদ রাবানি, বাংলাদেশ সমাজ তান্ত্রিক দল (বাসদ) এর সমন্বয়ক জয়নাল আবেদিন মুকুল, সমাজসেবক বিন আলী পিটু, ৭ নং ওয়ার্ড বাসিন্দা আব্দুল বাশির, রাশেদুজ্জামান, ২ নং ওয়ার্ড বাসিন্দা আকতারুন সহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
এসময় নওগাঁ পৌরবাসির বিভিন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা হওয়ার পরও এর বাসিন্দারা নাগরিক সেবা থেক বঞ্চিত হচ্ছে। পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যাবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, খানাখন্দ ও ভাঙা রাস্তায় চলাচল জনদূর্ভােগ, সন্ধ্যার পর আলাে (লাইটিং) ব্যবস্থা না থাকায় পৌরবাসীকে দীর্ঘদিন থেকে দূর্ভােগ পােহাতে হচ্ছে।
পৌর বিধি মােতাবেক ৫ বছর পর পর পৌরকর বদ্ধি করা হয়। গত ৮ জুলাই পৌরকর বদ্ধির বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে পৌর প্রশাসক সংবাদ সম্মলন করন। যেখানে পানির বিল ২০০ টাকা থেক ৩০০ টাকা ও অন্যান্য কর ৪০ শতাংশ বদ্ধির প্রস্তাব করা হয়। সেখানে গণমাধ্যমকর্মীরা পৌরকর বদ্ধি করতে দ্বিমত পােষণ করে। তবে বকয়া পৌরকর আদায়ের ব্যাপারে গণমাধ্যমকর্মীরা তাগিদ দিয়েছেন। পৌরসভার উন্নয়ন সবাই চায়। সেবার মান বদ্ধি না করে পরকর বৃদ্ধি অযক্তিক। পৌরবাসীকে করের বােঝা চাপিয়ে দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব না।
শিক্ষক জাহিদ রাব্বানি বলেন- গরীবরা টাকা দিতে পারে না আবার কথাও বলতে পারে না। তাদের ওপর করের বােঝা চাপানাে হচ্ছে জোড় করে। এটা এক ধরনের বৈষম্য। কর পরিশােধে পৌরবাসীকে চিঠি দেয়া হচ্ছে। আবার অতিরিক্ত কর যাচাই-বাছাইয়ে ৫০ টাকা খরচে কর আবেদন করতে বলা হচ্ছে। এটা কি ধরণের যৌক্তিকতা।
নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক টি.এম.এ. মমিন বলেন, অযৌক্তিক কর নির্ধারণ কথাটি ঠিক না। এটা অতিরিক্ত হতে পারেনা। আর এটা সরকারের সিদ্ধান্ত। তবে আমাদের কর নির্ধারণ মূল্যায়ন কমিটি আছে, সেখানে আবেদন করলে তারা পুর্নবিবেচনা করতে পারে।