ঢাকা ০৯:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জুলাই আন্দোলনে মিরপুর আওয়ামী লীগের অর্থদাতা ভূমিদস্যু ছাত্র হত্যা মামলার আসামি ডিপজলের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধ মির্জাগঞ্জে বিএনপির বিজয় র‌্যালী অনুষ্ঠিত মিরপুর বিআরটিএ ট্রাফিক পুলিশের অভিযান আটক ২ কালিহাতীতে ঐতিহাসিক ৫ জুলাই উপলক্ষে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উত্তেজনা পঞ্চগড়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালন পঞ্চগড়ে খড়ির ঘরে জবাই করা বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার আদমদীঘিতে নিখোঁজ ভারসাম্যহীন যুবককে ফিরে পেতে পরিবারের আকুতি জুলাই-আগষ্ট গনঅভ্যুত্থান শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তিতে আত্রাইয়ে বিএনপির বিজয় র‌্যালি আত্রাইয়ে জুলাই যােদ্ধাদের কবরে প্রশাসনের শ্রদ্ধা নিবেদন মিরপুরে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক নারী’র মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে

মিরপুর বিআরটিএ ট্রাফিক পুলিশের অভিযান আটক ২

  • আবুল কাশেম :
  • আপডেট টাইম : ০১:২৯:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫
  • ৭৭৭ বার পড়া হয়েছে

গত সোমবার (০৪ আগস্ট ২৫) বিকালে মিরপুর-১৩ বিআরটি এর সামনে হুমায়ুন রশীদ ও নুরুল ইসলাম সৈকত এর দোকানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। রাজধানীর মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের প্রসিকিউশান শাখার ভুয়া সিল ও সাইন সহ প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের চৌকস টিম।আসামীরা হলেন, সিলেট জেলার কানাইঘাট থানার নিজচাওড়া উত্তর গ্রামের মো: আলাউদ্দিনের ছেলে হুমায়ুন রশীদ ও চট্টগ্রাম জেলার কাউখালি থানার চৌধুরীপাড়া গ্রামের মো: করিমের ছেলে নুরুল ইসলাম সৈকত।
মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের অফিস সূত্রে জানা যায়, আনুমানিক দুপুর ২ ঘটিকায় মো: সেলিম ও মো: আসাদ নামে দুজন ব্যক্তি মিরপুর ট্রাফিক বিভাগ এর প্রসিকিউশান শাখায় ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স নিতে আসলে দেখা যায় তাদের জিডি কপিতে আগে থেকে ট্রাফিক মিরপুর বিভাগের প্রসিকিউশান শাখার ভুয়া সিল ও সাইন ব্যবহার করা আছে।
মিরপুর ১৩ বিআরটি এর পাশে একটি দোকানে এমন জালিয়াতি ও প্রতারণামূলক কাজ প্রতিনিয়ত করা হয় মর্মে জানা যায়৷ ডিসি ট্রাফিক মিরপুর গৌতম কুমার বিশ্বাস’কে বিষয়টি অবগত করা হলে প্রাথমিক অনুসন্ধান করেন এবং প্রাথমিক অনুসন্ধানে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় মূল রহস্য উদঘাটন করার জন্য ডিসি ট্রাফিক মিরপুর তাৎক্ষণিক একটি টিম গঠন করে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ও নির্দেশনা প্রদান করে ঘটনাস্থলে প্রেরণ করেন। টিম ট্রাফিক মিরপুর বিভাগ এর সদস্যগণ হলেন, পুলিশ সার্জেন্ট মো: নাজমুল হোসেন, শিহাব, জাকারিয়া, পূজা ও সার্জেন্ট পান্না। উক্ত সদস্য গন ঘটানাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রতারক ও জালিয়াতি চক্রের মূলহোতাসহ দুইজনকে প্রমাণসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করেন এবং চাঞ্চল্যকর রহস্য উদঘাটন করেন।
প্রতারক চক্র গ্রেফতারের সময় টিম ট্রাফিক মিরপুর বিভাগের সাথে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন সাইদ এর একটা টিম আনুষাঙ্গিক সহযোগিতা করেন।
বিআরটি’র আদালত-০৯ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তাসমিয়া জায়গীরদার প্রতারক চক্রের স্বীকারোক্তি ও অন্যান্য প্রমাণাদি যাচাই পূর্বক উক্ত প্রতারক চক্রের দুজনকে ৬ মাস এর কারাদণ্ড প্রদান করেন। আদেশ অনুযায়ী আসামীদেরকে কাফরুল থানার এ এস আই মেহেদী হাসান কারাগারে পেরন করেন।
সার্জেন্ট নাজমুল হোসেন জানান, কিছুদিন আগে থেকে এই প্রতারক চক্রের জালিয়াতির বিষয় আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ ছিলো। ডিসি ট্রাফিক মিরপুর বিভাগ গৌতম কুমার বিশ্বাস দিকনির্দেশনায় আমরা উক্ত আসামীদের আটক করতে সক্ষম হই।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই আন্দোলনে মিরপুর আওয়ামী লীগের অর্থদাতা ভূমিদস্যু ছাত্র হত্যা মামলার আসামি ডিপজলের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধ

মিরপুর বিআরটিএ ট্রাফিক পুলিশের অভিযান আটক ২

আপডেট টাইম : ০১:২৯:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫

গত সোমবার (০৪ আগস্ট ২৫) বিকালে মিরপুর-১৩ বিআরটি এর সামনে হুমায়ুন রশীদ ও নুরুল ইসলাম সৈকত এর দোকানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। রাজধানীর মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের প্রসিকিউশান শাখার ভুয়া সিল ও সাইন সহ প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের চৌকস টিম।আসামীরা হলেন, সিলেট জেলার কানাইঘাট থানার নিজচাওড়া উত্তর গ্রামের মো: আলাউদ্দিনের ছেলে হুমায়ুন রশীদ ও চট্টগ্রাম জেলার কাউখালি থানার চৌধুরীপাড়া গ্রামের মো: করিমের ছেলে নুরুল ইসলাম সৈকত।
মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের অফিস সূত্রে জানা যায়, আনুমানিক দুপুর ২ ঘটিকায় মো: সেলিম ও মো: আসাদ নামে দুজন ব্যক্তি মিরপুর ট্রাফিক বিভাগ এর প্রসিকিউশান শাখায় ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স নিতে আসলে দেখা যায় তাদের জিডি কপিতে আগে থেকে ট্রাফিক মিরপুর বিভাগের প্রসিকিউশান শাখার ভুয়া সিল ও সাইন ব্যবহার করা আছে।
মিরপুর ১৩ বিআরটি এর পাশে একটি দোকানে এমন জালিয়াতি ও প্রতারণামূলক কাজ প্রতিনিয়ত করা হয় মর্মে জানা যায়৷ ডিসি ট্রাফিক মিরপুর গৌতম কুমার বিশ্বাস’কে বিষয়টি অবগত করা হলে প্রাথমিক অনুসন্ধান করেন এবং প্রাথমিক অনুসন্ধানে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় মূল রহস্য উদঘাটন করার জন্য ডিসি ট্রাফিক মিরপুর তাৎক্ষণিক একটি টিম গঠন করে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ও নির্দেশনা প্রদান করে ঘটনাস্থলে প্রেরণ করেন। টিম ট্রাফিক মিরপুর বিভাগ এর সদস্যগণ হলেন, পুলিশ সার্জেন্ট মো: নাজমুল হোসেন, শিহাব, জাকারিয়া, পূজা ও সার্জেন্ট পান্না। উক্ত সদস্য গন ঘটানাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রতারক ও জালিয়াতি চক্রের মূলহোতাসহ দুইজনকে প্রমাণসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করেন এবং চাঞ্চল্যকর রহস্য উদঘাটন করেন।
প্রতারক চক্র গ্রেফতারের সময় টিম ট্রাফিক মিরপুর বিভাগের সাথে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন সাইদ এর একটা টিম আনুষাঙ্গিক সহযোগিতা করেন।
বিআরটি’র আদালত-০৯ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তাসমিয়া জায়গীরদার প্রতারক চক্রের স্বীকারোক্তি ও অন্যান্য প্রমাণাদি যাচাই পূর্বক উক্ত প্রতারক চক্রের দুজনকে ৬ মাস এর কারাদণ্ড প্রদান করেন। আদেশ অনুযায়ী আসামীদেরকে কাফরুল থানার এ এস আই মেহেদী হাসান কারাগারে পেরন করেন।
সার্জেন্ট নাজমুল হোসেন জানান, কিছুদিন আগে থেকে এই প্রতারক চক্রের জালিয়াতির বিষয় আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ ছিলো। ডিসি ট্রাফিক মিরপুর বিভাগ গৌতম কুমার বিশ্বাস দিকনির্দেশনায় আমরা উক্ত আসামীদের আটক করতে সক্ষম হই।