গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের ছালাম প্রধানের বড় ছেলে পিতার নিকট থেকে জোরপূর্বক জমি লিখে নেওয়ার চেষ্টা করে। পিতা ছালাম প্রধান জমি দলিল করে দিতে রাজি না হওয়ায় পিতাকে বেধড়প মারপিট করেন তার বড় ছেলে নুরুল আমিন ছেলের বউ লিলুফা ও নাতি লিটন প্রধান।
গত ০৪/০৯/২০২৫ইং তারিখ অনুমান সকাল ১০টার সময় সাঘাটা থানার ৫নং কচুয়া ইউনিয়নের অর্ন্তগত রামনগর গ্রামের ছালাম প্রধানের বড় ছেলে পিতার নিকট থেকে জোরপূর্বক জমি লিখে নেওয়ার চেষ্টা করে। পিতা ছালাম প্রধান জমি দলিল করে দিতে রাজি না হওয়ায় তার বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে, ঘরের ভিতর স্টিলের বাক্সের তালা ভেঙ্গে বাক্সের মধ্যে থাকা ছোট ছেলের চাকুরীর বেতনের নগদ ৩,৫০,০০০/-(তিন লক্ষ পঞ্চাশ) টাকা এবং পুত্রবধুর ব্যবহারী ০২(দুই) ভরি ওজনের হাতের চুড়ি, কানের দুল ও গলার চেইন লুট করে নিয়ে যায়। যার অনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৩,১৪,০০০/- (তিন লক্ষ চৌদ্দ হাজার) টাকা। এবং তার পিতা মাতাকে বেধড়প মারপিট করেন তার বড় ছেলে নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী লিলুফা এবং ছেলে লিটন প্রধান। সন্ত্রাসী কায়দায় লোহার রড, ধারালো ছোরা, বাসের লাঠি, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা করেন। মোঃ নুরুল আমিন তার পিতা ছালামকে মারার হুকুম দিলে ,নুরুল আমিনের স্ত্রী মোছাঃ নিলুফা বেগম তাহার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে শ্বশুর ছালাম প্রধানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারি মারপিট করেন। এবং ছেলে মোঃ নূরুল আমিন তাহার হাতে থাকা ধারালো ছোরা দিয়ে পিতা ছালাম প্রধানকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথা লক্ষ্য করে সজোরে আঘাত করেন। আঘাতটির ফলে ছালাম প্রধানের মাথার গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়। তার মাতা মোছাঃ গোলেজা বেগমকে গলা চেপে ধরে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করেন। তাদের আত্মচিৎকার শুনে এলাকা বাসি এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী তাদের কে উদ্ধার করে সাঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এ ঘটনায় সাঘাটা থানায় একটি ইজাহার দায়ের হয়েছে।