ঢাকা ০৭:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বন্ধ হচ্ছেনা মাগুরা মহম্মদপুরের অবৈধ বালু উত্তোলন মাগুরা শালিকায় যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে জখম মাগুরাতে পানিতে ডুবে একই পরিবারের তিন শিশুর মৃত্যু সরকার বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকায় ৬ অডিটরের বিভাগীয় শাস্তি দাবী ‘মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ষড়যন্ত্রমূলক প্রতিবেদন’ দাবি অভিযুক্তদের ডব্লিউসিএইচ ও’র ৩দিন ব্যাপী আলোক উৎসব মেলা যৌতুক ও নারীলোভী ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা কালিহাতীতে বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী তরুণী ধর্ষণ! থানায় অভিযোগল চিতলমারীতে সমবায় অধিদপ্তরে অর্থায়ণে ২৫ জন অংশগ্রহনকারীর ভ্রাম্যমান প্রশিক্ষণ ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন

যৌতুক ও নারীলোভী ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা

নাটোরের গুরুদাসপুরের কামরুল ইসলাম নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলা করেছেন তার তৃতীয় স্ত্রী মাহফুজা চৌধুরী। কামরুল উপজেলার মশিন্দা কান্দিপাড়া গ্রামের সোলাইমান আলীর ছেলে ও রুপালী ব্যাংক কর্মকর্তা।

অভিযোগ ও ভুক্তোভোগী সুত্রে জানা গেছে,পারিবারিকভাবে ২০২০ সালে অভিযুক্ত কামরুলের সাথে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিবাহ হয় বিসিএস শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজার। বিবাহের পর থেকেই স্ত্রী ও তার পরিবারের কাছ থেকে নানা অজুহাতে অর্থ হাতিয়ে নিতে থাকে কামরুল। একসময় বুঝতে পেরে স্ত্রী মাহফুজা ও তার পরিবার টাকা দেয়া বন্ধ করে দিলে কামরুল মাহফুজাকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে।
এর মধ্যে তাদের পরিবারে একটিপুত্র সন্তান জন্ম নেয়। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে কামরুলের শারীরিক নির্যাতনে অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাও নিতে হয়েছে মাহফুজাকে। অর্থলোভী কামরুল স্ত্রী মাহফুজাকে শারিরীক নির্যাতন করে বাবার বাড়িতে তাড়িয়ে দিয়ে যোগাযোগ বন্ধ রেখেছে। ন্যায়বিচার পেতে মাহফুজা গত ১৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর সিলেট মেট্রোপলিটন আদালতে দুটি মামলা করেন (মামলা নম্বর ৩২১ ও ১৩০০) করেছেন।
মাহফুজা চৌধুরী জানান,যৌতুক ও নারী লোভী কামরুল এর আগে খালাতো বোন রাশিদাকে বিয়ে করে ডিভোর্স দেন। প্রথম স্ত্রী রাশিদার মামলায় জেলও খাটেন তিনি। পরে টাঙ্গাইলে মাহফুজা সুলতানা শিউলীকে বিবাহ করে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে তাকেও ডিভোর্স দেন। শিউলীর মামলা পরে পারিবারিকভাবে নির্ধারিত অর্থের বিনিময়ে মিমাংসা হয়। বিয়ের পরে সবকিছু মেনে নিয়েই তিনি সংসার করছি। আমার একটি সস্তান আছে। আমি স্বামী স্ত্রীর অধিকার নিয়ে সংসার করতে চাই।
ব্যাংক কর্মকর্তা কমরুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, আদালতের মাধ্যমে উভয়পক্ষের অভিভাবকদের নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা হয়। সেখানে সংসার করতে স্ত্রী এককালীন ৩০ লাখ ও প্রতিমাসে ৪০/৪৫ হাজার টাকা হাত খরচ দাবী করে। যা দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। আমার প্রমোশন আটকানোর চেষ্টা,সন্ত্রাসী দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে সে। এমন দুস্কৃতিকারী স্ত্রী নিয়ে সংসার হয়না।
বক্তব্য চাইলে অভিযুক্ত কামরুল সংবাদ না করতে বলেন। সংবাদ হলে প্রতিবেদককে মামলা ও দেখে নেয়ার হুমকিও দেন তিনি।
মশিন্দা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল বারী জানান,বেশকিছুদিন আগে সিলেটের বর্তমান স্ত্রী মুঠোফোনে বিষয়টি আমাকে অবগত করেছিলেন,পরে আর যোগাযোগ করেননি। যেহেতু বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে সেখানে তার কিছু করার নেই।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বন্ধ হচ্ছেনা মাগুরা মহম্মদপুরের অবৈধ বালু উত্তোলন

যৌতুক ও নারীলোভী ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা

আপডেট টাইম : ০৪:০১:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

নাটোরের গুরুদাসপুরের কামরুল ইসলাম নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলা করেছেন তার তৃতীয় স্ত্রী মাহফুজা চৌধুরী। কামরুল উপজেলার মশিন্দা কান্দিপাড়া গ্রামের সোলাইমান আলীর ছেলে ও রুপালী ব্যাংক কর্মকর্তা।

অভিযোগ ও ভুক্তোভোগী সুত্রে জানা গেছে,পারিবারিকভাবে ২০২০ সালে অভিযুক্ত কামরুলের সাথে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিবাহ হয় বিসিএস শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজার। বিবাহের পর থেকেই স্ত্রী ও তার পরিবারের কাছ থেকে নানা অজুহাতে অর্থ হাতিয়ে নিতে থাকে কামরুল। একসময় বুঝতে পেরে স্ত্রী মাহফুজা ও তার পরিবার টাকা দেয়া বন্ধ করে দিলে কামরুল মাহফুজাকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে।
এর মধ্যে তাদের পরিবারে একটিপুত্র সন্তান জন্ম নেয়। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে কামরুলের শারীরিক নির্যাতনে অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাও নিতে হয়েছে মাহফুজাকে। অর্থলোভী কামরুল স্ত্রী মাহফুজাকে শারিরীক নির্যাতন করে বাবার বাড়িতে তাড়িয়ে দিয়ে যোগাযোগ বন্ধ রেখেছে। ন্যায়বিচার পেতে মাহফুজা গত ১৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর সিলেট মেট্রোপলিটন আদালতে দুটি মামলা করেন (মামলা নম্বর ৩২১ ও ১৩০০) করেছেন।
মাহফুজা চৌধুরী জানান,যৌতুক ও নারী লোভী কামরুল এর আগে খালাতো বোন রাশিদাকে বিয়ে করে ডিভোর্স দেন। প্রথম স্ত্রী রাশিদার মামলায় জেলও খাটেন তিনি। পরে টাঙ্গাইলে মাহফুজা সুলতানা শিউলীকে বিবাহ করে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে তাকেও ডিভোর্স দেন। শিউলীর মামলা পরে পারিবারিকভাবে নির্ধারিত অর্থের বিনিময়ে মিমাংসা হয়। বিয়ের পরে সবকিছু মেনে নিয়েই তিনি সংসার করছি। আমার একটি সস্তান আছে। আমি স্বামী স্ত্রীর অধিকার নিয়ে সংসার করতে চাই।
ব্যাংক কর্মকর্তা কমরুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, আদালতের মাধ্যমে উভয়পক্ষের অভিভাবকদের নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা হয়। সেখানে সংসার করতে স্ত্রী এককালীন ৩০ লাখ ও প্রতিমাসে ৪০/৪৫ হাজার টাকা হাত খরচ দাবী করে। যা দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। আমার প্রমোশন আটকানোর চেষ্টা,সন্ত্রাসী দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে সে। এমন দুস্কৃতিকারী স্ত্রী নিয়ে সংসার হয়না।
বক্তব্য চাইলে অভিযুক্ত কামরুল সংবাদ না করতে বলেন। সংবাদ হলে প্রতিবেদককে মামলা ও দেখে নেয়ার হুমকিও দেন তিনি।
মশিন্দা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল বারী জানান,বেশকিছুদিন আগে সিলেটের বর্তমান স্ত্রী মুঠোফোনে বিষয়টি আমাকে অবগত করেছিলেন,পরে আর যোগাযোগ করেননি। যেহেতু বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে সেখানে তার কিছু করার নেই।