ঢাকা ০৫:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাংবাদিকদের ঐক্যে ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো মিরপুর প্রেসক্লাবের কাউন্সিল নওগাঁয় ধানের শীষের পক্ষে জনমত গঠনে ধলুর লিফলেট বিতরণ মিরপুর প্রেসক্লাবের কাউন্সিল রবিবার দেশের সর্বোচ্চ পতাকাস্ট্যান্ডে উড়লো লাল-সবুজের পতাকা চেয়ার ক্রয়ে দ্বিগুণ বিল, জাগরণ অনুষ্ঠানের নাস্তায় ‘বিরানি’র ভাউচার সান্তাহারে মৎস্য আড়তের ঘর পার্টনারকে জিম্মি করে জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় গড়ে উঠবে নতুন বাংলাদেশ: আমিনুল হক মিথ্যা গায়েবী মামলা প্রত্যাহার ও এ ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন বম্বে সুইটস এন্ড কোং লিমিটেডের মিরপুর জোনের ম্যানেজার সহ কয়েকজনকে মারধর! বিএনপি নেতাকর্মীদের জনগণের আস্থা অর্জনের আহ্বান আমিনুল হকের

মিথ্যা গায়েবী মামলা প্রত্যাহার ও এ ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

প্রিয় সাংবাদিক,

সহকর্মী, ভাই, বোন বন্ধু আসসালামু আলাইকুম। আজ অত্যান্ত দুঃখ ও ভরাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হতে হয়েছে। আমি একজন পেশায় সাংবাদিক। আজ এখানে কোন না কোন নির্যাতিত মানুষের সংবাদ সংগ্রহ করার কথা ছিল আমার। আজ আমি নিজেই প্রতিকার পেতে সংবাদ সম্মেলন করার জন্য উপস্থিত হয়েছি। উপস্থিত আপনারা সবাই অবগত রয়েছেন যে, গত ১৪ মার্চ শুক্রবার বিকালে একটি গায়েবী চাঁদাবাজির মামলায় আমাকে আমার বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের দিন কোট হাজত থেকে সরাসরি আমাকে জেল হাজতে প্রেরন করে। এর ৪দিন পর আমার নামে পাবনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা মামলা জিআর ৫০৩/পাবনা আমার নামে পিডাব্লুডি লাগানো হয়। এর ঠিক মাস খানেক পরে ঈশ্বরদীর ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আরেকটি মামলার পিডাব্লিডি লাগানো হয়। পরে আদালতে আমাকে উপস্থিত করে সিডাব্লিডি অথ্যাৎ আমাকে ওইসব গায়েবী মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। প্রায় সাড়ে ৬ মাস হাজতবাস শেষে যখন জামিনে বের হতে যাচ্ছি ঠিক ওই সময় ডিবি পুলিশের একটি টিম জেল গেট থেকে আমাকে আবারও গ্রেফতার করে। আপনারা অবশ্যয় অবগত আছেন ওই সময় আপনাদের উপস্থিতিতে আপনাদের সহযোগিতায় পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে ছিলাম।
কি আমার অপরাধ প্রশ্ন রেখে গেলাম। পাবনার পুলিশ সুপার মর্তুজা আলী খান কেন আমাকে বার বার মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। প্রথম কারন বৈষম্যবিরোধী মামলা হওয়ার পরেও নিহত ও আহতদের পরিবারের লোকজন যখন নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছিল, তখন আমি নিহত ও আহত এবং জুলাই যোদ্ধাদের পক্ষে একটি নিউজ করেছিলাম। নিউজটা পুলিশের বিপক্ষে গিয়েছিল। শুধু তাই না, আমার কাছে খবর আছে ওই নিউজের কারনে পাবনার এসপি সাহেবকে অনেক চাপ সামলাতে হয়েছিল। ২য় কারন পাবনা সদর থানার ওসি মাদক ব্যাবসায়ীদের ধরে নামমাত্র মামলা দিয়ে কোটে চালান দিতেন।তখন আমি পাবনা সদর থানার ওসি আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে একটি নিউজ করেছিলাম। তৃতীয় অপরাধ বেড়া সাথিয়া রোডে ডাকাতি হয়েছিল। সেখানে ৫/৭টি গাড়িতে ডাকাতি হয়েছিল। আওয়ামীলীগ পন্থি সাংবাদিক বা বর্তমান সরকারের বিপক্ষের শক্তিরা দেশের মানুষের মধ্যে আতংক বা ভীতি সৃষ্টি করতে ২০টি গাড়িতে ডাকাতির কথা উল্ল্যেখ করেছিল। আমি সেখানে ৮/১০টি গাড়িতে ডাকাতি হয়েছিল এই নিউজ করেছিলাম। এসপি সাহেব আওয়ামীপন্থি তাই আমার নিউজের জন্য, তিনি আমার প্রতি মনে হয় আক্রোশ হয়েছিল। কেন আমি ২০/২৫টি গাড়ি উল্ল্যেখ করেনি। প্রমান আমার কাছে আছে। এটিও একটি কারন। চতুর্থ নাম্বার আমার ভাইদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ আছে। যেটা আদালতে বিচারাধীন। আমার ভাই এসপি সাহেবের সাথে মনে হয় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চুক্তি করেছিল। আমাকে গ্রেফতার করে জেলে ভরে রাখা হলে, আমার বাড়ি ঘর এবং মেশিনপত্র দখল করে বিক্রি করার পর কোটি টাকার ভাগ বাটোয়ারা করার কথা ছিল। এই মিশন সাকসেস করতে আপনারা জানেন, আমি গ্রেফতার হওয়ার মাত্র ১ সপ্তাহের মধ্যে আমার আপন বড় ভাই তার সন্তানদের নিয়ে আমার বাড়ির গ্রিলকেটে প্রবেশ করে আমার স্ত্রীকে হত্যার জন্য বেদম প্রহার করেছিল। একপর্যায়ে হত্যা করতে টেনে হিচরে তাদের ঘরে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। ওই সময় পুলিশের উপস্থিতিতে আমার স্ত্রীকে পেটানো হলেও পুলিশ নিরব দর্শকের মত দাড়িয়ে দেখছিল (এর ভিডিও আছে)। পরে স্থানীয় জনগণ পুলিশের উপর ক্ষিপ্ত হলে তখন আমার ভাই-ভাতিজারা আমার বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পুলিশ স্থাণীয়দের চাপের মুখে লোক দেখানোর জন্য আমার ভাই ও ভাতিজাদের গ্রেফতার করলেও রাতের আধারে আমার ভাইকে পুলিশ আবার তার বাড়িতে রেখে যায় এবং লোক দেখানো মামলায় আমার ২ ভাতিজাকে আদালতে প্রেরন করে। যা আদালত খোলার দিন জামিনে মুক্ত হয়ে আবার বাড়িতে এসে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এ ব্যাপারে পাবনা সদর থানায় আমার স্ত্রী সাধারন ডায়েরী করেছিল। আপনারা বলেন, একজন মহিলাকে মেরে গুরুত্বর আহত, হত্যা চেষ্টা ও মালামাল লুটের ও হত্যার উদ্যেশে অনাধিকার প্রবেশ করিয়া গুরুত্বর মারপিট করা মামলায় কেউ ১ সপ্তাহে জামিন পাই। একজন মহিলাকে মারপিট করার মামলা প্রথমেই হবে নারী নির্যাতন। তারপর অন্যধারা আসবে। আমার স্ত্রী’র দায়েরকৃত অভিযোগ থানা গ্রহন না করে, পাবনা থানা পুলিশ তাদের মনগড়া এজাহার গ্রহন করে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করেছে। আপনারা আরো জানেন, ৫আগষ্ট ২০২৪ সালে আমার ভাই, ভাতিজা প্রকাশ্যে শহীদ চত্বরে আমার উপর হামলা করলো, সেই মামলা ফাইনাল দিয়েছে পাবনা থানা পুলিশ। অথচ দিনে দুপুরের ঘটনা, পুলিশ ফাইনাল দেয় কিভাবে। উক্ত ঘটনায় একজন সাংবাদিক হিসাবে আমি কোন বিচার পাইনি। কারন সেদিনকার ঘটনাও ছিল আমাকে হত্যার জন্য, আক্রমন করেছিল আমার ভাই এবং ভাতিজারা। পুলিশ উল্টো আমার নামে গায়েবী মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে হাজতবাস করিয়েছে। একজন সাংবাদিক যদি ন্যায় বিচার না পায়, তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কি হতে পারে। পাবনার এসপি আলী মর্তুজা খান পাবনায় ৩ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করে জেলে ভরেছে। আমি আপনাদের মাধমে সারা বাংলাদেশে জানিয়ে দিতে চাই। এই এসপি যেখানেই বদলী হোক না কেন ? সাংবাদিক নির্যাতনকারী পুলিশ সুপার হিসাবে যেন তাকে চিনে থাকে, আপনাদের কলমের লিখনির মাধ্যমে দেশের সকল সাংবাদিক ও মানুষের কাছে পৌছে দিন। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আমি আওয়ামীলীগের দোষর। আমি এসপি সাহেবকে বলতে চাই, আপনার ডিএসবিতে রেকর্ড আছে গত ১৬ বছর আমাকে বিএনপি’র সাংবাদিক হিসাবে তারা তদন্ত রিপোর্ট হেড অফিসে প্রেরন করেছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী, রাষ্টপ্রতি এমনকি মন্ত্রীদের কোন অনুষ্ঠানেও আমাকে আমন্ত্রন জানানো হতো না। অথচ আমি বিগত ২২ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশায় আছি। এরমধ্যে গত একযুগ আমি বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারী স্যাটেলাইট টেলিভিশন এটিএন বাংলায় সাংবাদিক হিসাবে কাজ করছি। আমি যদি আওয়ামীলীগের দোষর হত্যাম তাহলে এসপি সাহেব পাবনায় আসার ৭মাস পর আমাকে কেন গ্রেফতার করলেন। এসপি সাহেব আসার পর ৩ বার উনার সাথে সাক্ষাত হয়েছে একবার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায়, একবার নিউজের জন্য সাক্ষাতকারের জন্য গিয়েছিলাম, তিনি না থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এসপি সাহেবের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে সাক্ষাতকার দিয়েছে। ফেব্রুয়ারীতে এটিএন বাংলার ক্যালেন্ডার দেওয়ার জন্য এসপি অফিসে গিয়েছিলাম। এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে গিয়ে ক্যালেন্ডার দিয়ে ফটোসেশন করেছি। ডিসি সাহেবকে ক্যালেন্ডার উপহার দিয়ে ফটোসেশন করেছি। আপনার বলেন, ৫ আগষ্টের পর পাবনা সহ সারাদেশে কোন আওয়ামীলীগ কি প্রকাশ্যে ঘোরা ফেরা করেছে? পুলিশ আমাকে আওয়ামীলীগের দোষর বানাচ্ছে আবার প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করেছি সেই মামলায় আমার নামে দিয়েছে। যেখানে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের দেখাই মিলছে না। সেখানে আমাকে আওয়ামীলীগ বানিয়ে আবার চাঁদাবাজ হিসাবে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করছে। অথচ পাবনা জেলা পুলিশ বৈষম্যবিরোধী মামলার উল্ল্যেখযোগ্য কোন আসামী এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি, না গ্রেফতার করেনি, কোনটা হবে প্রশ্ন রেখে গেলাম। পুলিশ ভাল করেই জানে এসব আসামী কোথায় আছে। বিশেষ দফা রফার কারনে মুল আসামীদের গ্রেফতার করছে না। আরেকটি কথাআমি যদি আওয়ামীলীগের দোষর হতাম, তাহলে বিএনপি’র নেতারা কি সেই সময়ে আমার থেকে ক্যালেন্ডার গ্রহন করে আবার আমার সাথে ফটোসেশন করতো। আপনার পেপার পত্রিকায় দেখেছেন, সেই সময়ে আওয়ামীলীগের কোন আত্বিয় কর্মী যদি রাতের অন্ধকারে বিএনপি’র কোন নেতার কাছে আশ্রয় চাইত বহিস্কারের ভয়ে সে আশ্রয় পর্যন্ত দেয়নি। আমি আওয়ামীলীগের দোষর হলে কেউ আমার সাথে ফটোসেশন করবে। এমন গাজাখুরি কল্পকাহিনী সিনেমায় সম্ভব, বাস্তবে না। শুধুমাত্র কোটি টাকার ভাগ পেতে পুলিশ সুপার সাহেব ও পাবনা সদর থানার ওসি আব্দুস সালাম সাহেব আমার নামে বৈষম্যবিরোধী হত্যা মামলাসহ ৪টি গায়েবী মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে পরে চার্যশিট দিয়েছে। এরপরেও আমি ন্যায় বিচার পেতে সিআরপিসি ১৭৩/এ ধারায়পাবনার পুলিশ সুপার বরাবর দরখাস্ত দিয়েছি। বৈষম্যবিরোধী হত্যা মামলার বাদীর প্রত্যয়ন পত্রের ফটোকপি আমি পাবনা থানার ওসি আব্দুস সালাম এবং তদন্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় সাহেব বরাবর রেজিষ্ট্রি ডাকযোগে আমি কপি প্রেরন করেছি। তারপরেও আমার নামে চার্যশিট দিয়েছে বলে আমি জানতে পেরেছি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার আদালতে চার্যশিট শুনানী গ্রহন করা হলে আমাকে পুনরায় কারাগারে যেতে হতে পারে। আমি পুলিশের মাধ্যমে জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছি, এজন্য পুলিশ প্রধান আইজিপি মহোদয়, স্বরাষ্ট্র উপদেস্টা মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলছি আপনার বিচার বিভাগীয় কমিটি করে তদন্ত পুর্বক আমাকে ন্যায় বিচার পেতে সাহায্য করুন এবং অপরাধী পুলিশ কর্মকর্তাদের সর্বচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করুন। তা না হলে আমার মত অনেক পেশাদার সাংবাদিকদের গ্রেফতার করে তাদের জীবন নষ্ট করে দিবে।

ট্যাগস

সাংবাদিকদের ঐক্যে ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো মিরপুর প্রেসক্লাবের কাউন্সিল

মিথ্যা গায়েবী মামলা প্রত্যাহার ও এ ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট টাইম : ০৮:৩৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

প্রিয় সাংবাদিক,

সহকর্মী, ভাই, বোন বন্ধু আসসালামু আলাইকুম। আজ অত্যান্ত দুঃখ ও ভরাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হতে হয়েছে। আমি একজন পেশায় সাংবাদিক। আজ এখানে কোন না কোন নির্যাতিত মানুষের সংবাদ সংগ্রহ করার কথা ছিল আমার। আজ আমি নিজেই প্রতিকার পেতে সংবাদ সম্মেলন করার জন্য উপস্থিত হয়েছি। উপস্থিত আপনারা সবাই অবগত রয়েছেন যে, গত ১৪ মার্চ শুক্রবার বিকালে একটি গায়েবী চাঁদাবাজির মামলায় আমাকে আমার বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের দিন কোট হাজত থেকে সরাসরি আমাকে জেল হাজতে প্রেরন করে। এর ৪দিন পর আমার নামে পাবনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা মামলা জিআর ৫০৩/পাবনা আমার নামে পিডাব্লুডি লাগানো হয়। এর ঠিক মাস খানেক পরে ঈশ্বরদীর ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আরেকটি মামলার পিডাব্লিডি লাগানো হয়। পরে আদালতে আমাকে উপস্থিত করে সিডাব্লিডি অথ্যাৎ আমাকে ওইসব গায়েবী মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। প্রায় সাড়ে ৬ মাস হাজতবাস শেষে যখন জামিনে বের হতে যাচ্ছি ঠিক ওই সময় ডিবি পুলিশের একটি টিম জেল গেট থেকে আমাকে আবারও গ্রেফতার করে। আপনারা অবশ্যয় অবগত আছেন ওই সময় আপনাদের উপস্থিতিতে আপনাদের সহযোগিতায় পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে ছিলাম।
কি আমার অপরাধ প্রশ্ন রেখে গেলাম। পাবনার পুলিশ সুপার মর্তুজা আলী খান কেন আমাকে বার বার মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। প্রথম কারন বৈষম্যবিরোধী মামলা হওয়ার পরেও নিহত ও আহতদের পরিবারের লোকজন যখন নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছিল, তখন আমি নিহত ও আহত এবং জুলাই যোদ্ধাদের পক্ষে একটি নিউজ করেছিলাম। নিউজটা পুলিশের বিপক্ষে গিয়েছিল। শুধু তাই না, আমার কাছে খবর আছে ওই নিউজের কারনে পাবনার এসপি সাহেবকে অনেক চাপ সামলাতে হয়েছিল। ২য় কারন পাবনা সদর থানার ওসি মাদক ব্যাবসায়ীদের ধরে নামমাত্র মামলা দিয়ে কোটে চালান দিতেন।তখন আমি পাবনা সদর থানার ওসি আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে একটি নিউজ করেছিলাম। তৃতীয় অপরাধ বেড়া সাথিয়া রোডে ডাকাতি হয়েছিল। সেখানে ৫/৭টি গাড়িতে ডাকাতি হয়েছিল। আওয়ামীলীগ পন্থি সাংবাদিক বা বর্তমান সরকারের বিপক্ষের শক্তিরা দেশের মানুষের মধ্যে আতংক বা ভীতি সৃষ্টি করতে ২০টি গাড়িতে ডাকাতির কথা উল্ল্যেখ করেছিল। আমি সেখানে ৮/১০টি গাড়িতে ডাকাতি হয়েছিল এই নিউজ করেছিলাম। এসপি সাহেব আওয়ামীপন্থি তাই আমার নিউজের জন্য, তিনি আমার প্রতি মনে হয় আক্রোশ হয়েছিল। কেন আমি ২০/২৫টি গাড়ি উল্ল্যেখ করেনি। প্রমান আমার কাছে আছে। এটিও একটি কারন। চতুর্থ নাম্বার আমার ভাইদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ আছে। যেটা আদালতে বিচারাধীন। আমার ভাই এসপি সাহেবের সাথে মনে হয় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চুক্তি করেছিল। আমাকে গ্রেফতার করে জেলে ভরে রাখা হলে, আমার বাড়ি ঘর এবং মেশিনপত্র দখল করে বিক্রি করার পর কোটি টাকার ভাগ বাটোয়ারা করার কথা ছিল। এই মিশন সাকসেস করতে আপনারা জানেন, আমি গ্রেফতার হওয়ার মাত্র ১ সপ্তাহের মধ্যে আমার আপন বড় ভাই তার সন্তানদের নিয়ে আমার বাড়ির গ্রিলকেটে প্রবেশ করে আমার স্ত্রীকে হত্যার জন্য বেদম প্রহার করেছিল। একপর্যায়ে হত্যা করতে টেনে হিচরে তাদের ঘরে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। ওই সময় পুলিশের উপস্থিতিতে আমার স্ত্রীকে পেটানো হলেও পুলিশ নিরব দর্শকের মত দাড়িয়ে দেখছিল (এর ভিডিও আছে)। পরে স্থানীয় জনগণ পুলিশের উপর ক্ষিপ্ত হলে তখন আমার ভাই-ভাতিজারা আমার বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পুলিশ স্থাণীয়দের চাপের মুখে লোক দেখানোর জন্য আমার ভাই ও ভাতিজাদের গ্রেফতার করলেও রাতের আধারে আমার ভাইকে পুলিশ আবার তার বাড়িতে রেখে যায় এবং লোক দেখানো মামলায় আমার ২ ভাতিজাকে আদালতে প্রেরন করে। যা আদালত খোলার দিন জামিনে মুক্ত হয়ে আবার বাড়িতে এসে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এ ব্যাপারে পাবনা সদর থানায় আমার স্ত্রী সাধারন ডায়েরী করেছিল। আপনারা বলেন, একজন মহিলাকে মেরে গুরুত্বর আহত, হত্যা চেষ্টা ও মালামাল লুটের ও হত্যার উদ্যেশে অনাধিকার প্রবেশ করিয়া গুরুত্বর মারপিট করা মামলায় কেউ ১ সপ্তাহে জামিন পাই। একজন মহিলাকে মারপিট করার মামলা প্রথমেই হবে নারী নির্যাতন। তারপর অন্যধারা আসবে। আমার স্ত্রী’র দায়েরকৃত অভিযোগ থানা গ্রহন না করে, পাবনা থানা পুলিশ তাদের মনগড়া এজাহার গ্রহন করে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করেছে। আপনারা আরো জানেন, ৫আগষ্ট ২০২৪ সালে আমার ভাই, ভাতিজা প্রকাশ্যে শহীদ চত্বরে আমার উপর হামলা করলো, সেই মামলা ফাইনাল দিয়েছে পাবনা থানা পুলিশ। অথচ দিনে দুপুরের ঘটনা, পুলিশ ফাইনাল দেয় কিভাবে। উক্ত ঘটনায় একজন সাংবাদিক হিসাবে আমি কোন বিচার পাইনি। কারন সেদিনকার ঘটনাও ছিল আমাকে হত্যার জন্য, আক্রমন করেছিল আমার ভাই এবং ভাতিজারা। পুলিশ উল্টো আমার নামে গায়েবী মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে হাজতবাস করিয়েছে। একজন সাংবাদিক যদি ন্যায় বিচার না পায়, তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কি হতে পারে। পাবনার এসপি আলী মর্তুজা খান পাবনায় ৩ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করে জেলে ভরেছে। আমি আপনাদের মাধমে সারা বাংলাদেশে জানিয়ে দিতে চাই। এই এসপি যেখানেই বদলী হোক না কেন ? সাংবাদিক নির্যাতনকারী পুলিশ সুপার হিসাবে যেন তাকে চিনে থাকে, আপনাদের কলমের লিখনির মাধ্যমে দেশের সকল সাংবাদিক ও মানুষের কাছে পৌছে দিন। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আমি আওয়ামীলীগের দোষর। আমি এসপি সাহেবকে বলতে চাই, আপনার ডিএসবিতে রেকর্ড আছে গত ১৬ বছর আমাকে বিএনপি’র সাংবাদিক হিসাবে তারা তদন্ত রিপোর্ট হেড অফিসে প্রেরন করেছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী, রাষ্টপ্রতি এমনকি মন্ত্রীদের কোন অনুষ্ঠানেও আমাকে আমন্ত্রন জানানো হতো না। অথচ আমি বিগত ২২ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশায় আছি। এরমধ্যে গত একযুগ আমি বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারী স্যাটেলাইট টেলিভিশন এটিএন বাংলায় সাংবাদিক হিসাবে কাজ করছি। আমি যদি আওয়ামীলীগের দোষর হত্যাম তাহলে এসপি সাহেব পাবনায় আসার ৭মাস পর আমাকে কেন গ্রেফতার করলেন। এসপি সাহেব আসার পর ৩ বার উনার সাথে সাক্ষাত হয়েছে একবার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায়, একবার নিউজের জন্য সাক্ষাতকারের জন্য গিয়েছিলাম, তিনি না থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এসপি সাহেবের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে সাক্ষাতকার দিয়েছে। ফেব্রুয়ারীতে এটিএন বাংলার ক্যালেন্ডার দেওয়ার জন্য এসপি অফিসে গিয়েছিলাম। এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে গিয়ে ক্যালেন্ডার দিয়ে ফটোসেশন করেছি। ডিসি সাহেবকে ক্যালেন্ডার উপহার দিয়ে ফটোসেশন করেছি। আপনার বলেন, ৫ আগষ্টের পর পাবনা সহ সারাদেশে কোন আওয়ামীলীগ কি প্রকাশ্যে ঘোরা ফেরা করেছে? পুলিশ আমাকে আওয়ামীলীগের দোষর বানাচ্ছে আবার প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করেছি সেই মামলায় আমার নামে দিয়েছে। যেখানে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের দেখাই মিলছে না। সেখানে আমাকে আওয়ামীলীগ বানিয়ে আবার চাঁদাবাজ হিসাবে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করছে। অথচ পাবনা জেলা পুলিশ বৈষম্যবিরোধী মামলার উল্ল্যেখযোগ্য কোন আসামী এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি, না গ্রেফতার করেনি, কোনটা হবে প্রশ্ন রেখে গেলাম। পুলিশ ভাল করেই জানে এসব আসামী কোথায় আছে। বিশেষ দফা রফার কারনে মুল আসামীদের গ্রেফতার করছে না। আরেকটি কথাআমি যদি আওয়ামীলীগের দোষর হতাম, তাহলে বিএনপি’র নেতারা কি সেই সময়ে আমার থেকে ক্যালেন্ডার গ্রহন করে আবার আমার সাথে ফটোসেশন করতো। আপনার পেপার পত্রিকায় দেখেছেন, সেই সময়ে আওয়ামীলীগের কোন আত্বিয় কর্মী যদি রাতের অন্ধকারে বিএনপি’র কোন নেতার কাছে আশ্রয় চাইত বহিস্কারের ভয়ে সে আশ্রয় পর্যন্ত দেয়নি। আমি আওয়ামীলীগের দোষর হলে কেউ আমার সাথে ফটোসেশন করবে। এমন গাজাখুরি কল্পকাহিনী সিনেমায় সম্ভব, বাস্তবে না। শুধুমাত্র কোটি টাকার ভাগ পেতে পুলিশ সুপার সাহেব ও পাবনা সদর থানার ওসি আব্দুস সালাম সাহেব আমার নামে বৈষম্যবিরোধী হত্যা মামলাসহ ৪টি গায়েবী মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে পরে চার্যশিট দিয়েছে। এরপরেও আমি ন্যায় বিচার পেতে সিআরপিসি ১৭৩/এ ধারায়পাবনার পুলিশ সুপার বরাবর দরখাস্ত দিয়েছি। বৈষম্যবিরোধী হত্যা মামলার বাদীর প্রত্যয়ন পত্রের ফটোকপি আমি পাবনা থানার ওসি আব্দুস সালাম এবং তদন্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় সাহেব বরাবর রেজিষ্ট্রি ডাকযোগে আমি কপি প্রেরন করেছি। তারপরেও আমার নামে চার্যশিট দিয়েছে বলে আমি জানতে পেরেছি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার আদালতে চার্যশিট শুনানী গ্রহন করা হলে আমাকে পুনরায় কারাগারে যেতে হতে পারে। আমি পুলিশের মাধ্যমে জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছি, এজন্য পুলিশ প্রধান আইজিপি মহোদয়, স্বরাষ্ট্র উপদেস্টা মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলছি আপনার বিচার বিভাগীয় কমিটি করে তদন্ত পুর্বক আমাকে ন্যায় বিচার পেতে সাহায্য করুন এবং অপরাধী পুলিশ কর্মকর্তাদের সর্বচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করুন। তা না হলে আমার মত অনেক পেশাদার সাংবাদিকদের গ্রেফতার করে তাদের জীবন নষ্ট করে দিবে।