ঢাকা ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কালিহাতীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসমত আলী’র স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে পররাষ্ট্র  উপদেষ্টার শোক গাজীপুরে জামায়াতের কর্মী ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সাভার আশুলিয়া থানা ছাত্রদলের সভাপতি পদ প্রার্থী আলহাজ্ব মাদবর উপর সন্ত্রাসী হামলা গাজীপুরে সাংবাদিকদের সাথে ইউএনও’র মতবিনিময় গাজীপুরে কর্পোরেট কোম্পানি থেকে পোল্ট্রি শিল্পকে রক্ষায় আলোচনা সভা সিরাজদিখানে প্রবাসী যুবককে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা; ছিনিয়ে নিয়েছে টাকা- স্বর্ণালংকার গাজীপুরে বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১দফার প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত পঞ্চগড়ে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) কর্তৃক শীত বস্ত্র বিতরণ আদমদীঘিতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ

মাগুরায় অবৈধ ৭ ক্লিনিক স্বাস্থ্য বিভাগ বন্ধ করলেও চলছে যথারীতি

মাগুরা প্রতিনিধি
অনুমোদনহীন ও অব্যস্থাপনার অভিযোগে মাগুরায় অবৈধ ৭ প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু বন্ধের করে দেওয়া আধিকাংশ হাসপাতাল ও ক্লিনিক স্বাস্থ্য বিভাগের আদেশ অমান্য করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, অবৈধ হাসপাতাল ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। আদেশ আমান্য করে কেউ বন্ধ প্রতিষ্ঠান চালু করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাগুরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাঙ্গের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে ১২৪টি অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্ট সেন্টার। অস্বাস্থকর পরিবেশে গড়ে ওঠা অধিকাংশের নেই কোন সরকারি অনুমোদন। এ অবস্থায় মঙ্গলবার জেলা সিভিল সার্জন অভিযান চালিয়ে শহরের ইবনে সিনা, পপুলার, একতা, সালেহা, শান্তি, আল্ট্রল্যাব, ফাতেমা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছে। তবে বন্ধ হওয়া এ সব প্রাইভেট ক্লিনিকের কর্তা ব্যক্তিরা প্রতিষ্ঠানে না থেকেও কর্মচারী দিয়ে কৌশলে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তবে এ সব প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি রোগির স্বজনরা বলছেন, এসব ক্লিনিক যে অবৈধ তা তারা জানেন না। বন্ধ ক্লিনিকের মালিক ও ম্যানেজারদের প্রতিষ্ঠানে পাওয়া যায়নি। তবে নার্স, আয়ারা বলছেন, তাদের ক্লিনিকে যে সকল রোগি রয়েছে, তা আগে ভার্তি। সিভিল সার্জনের নোটিশ পাওয়ার পরে তারা নতুন রোগি ভর্তি করেননি। জেলা ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্ট মালিক এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ফরহাদ আহমেদ বলছেন, সমিতির পক্ষ থেকে তারা মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে চান। সিভিল সার্জন অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারা সেটিকে সমর্থন করেন।
ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান, সিভিল সার্জন, মাগুরা বলছেন, তারা জেলার স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে মানহীন অবৈধ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্ট এর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচানা করে তা বন্ধ করে দিচ্ছেন। যারা তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমন বাস্তবতায় জেলার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা পড়েছে হুমকির মূখে। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করাই স্বাস্থ্য বিভাগের বড় চ্যালেন্স।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

কালিহাতীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসমত আলী’র স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল

মাগুরায় অবৈধ ৭ ক্লিনিক স্বাস্থ্য বিভাগ বন্ধ করলেও চলছে যথারীতি

আপডেট টাইম : ০১:০০:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২

মাগুরা প্রতিনিধি
অনুমোদনহীন ও অব্যস্থাপনার অভিযোগে মাগুরায় অবৈধ ৭ প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু বন্ধের করে দেওয়া আধিকাংশ হাসপাতাল ও ক্লিনিক স্বাস্থ্য বিভাগের আদেশ অমান্য করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, অবৈধ হাসপাতাল ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। আদেশ আমান্য করে কেউ বন্ধ প্রতিষ্ঠান চালু করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাগুরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাঙ্গের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে ১২৪টি অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্ট সেন্টার। অস্বাস্থকর পরিবেশে গড়ে ওঠা অধিকাংশের নেই কোন সরকারি অনুমোদন। এ অবস্থায় মঙ্গলবার জেলা সিভিল সার্জন অভিযান চালিয়ে শহরের ইবনে সিনা, পপুলার, একতা, সালেহা, শান্তি, আল্ট্রল্যাব, ফাতেমা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছে। তবে বন্ধ হওয়া এ সব প্রাইভেট ক্লিনিকের কর্তা ব্যক্তিরা প্রতিষ্ঠানে না থেকেও কর্মচারী দিয়ে কৌশলে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তবে এ সব প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি রোগির স্বজনরা বলছেন, এসব ক্লিনিক যে অবৈধ তা তারা জানেন না। বন্ধ ক্লিনিকের মালিক ও ম্যানেজারদের প্রতিষ্ঠানে পাওয়া যায়নি। তবে নার্স, আয়ারা বলছেন, তাদের ক্লিনিকে যে সকল রোগি রয়েছে, তা আগে ভার্তি। সিভিল সার্জনের নোটিশ পাওয়ার পরে তারা নতুন রোগি ভর্তি করেননি। জেলা ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্ট মালিক এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ফরহাদ আহমেদ বলছেন, সমিতির পক্ষ থেকে তারা মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে চান। সিভিল সার্জন অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারা সেটিকে সমর্থন করেন।
ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান, সিভিল সার্জন, মাগুরা বলছেন, তারা জেলার স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে মানহীন অবৈধ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্ট এর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচানা করে তা বন্ধ করে দিচ্ছেন। যারা তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমন বাস্তবতায় জেলার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা পড়েছে হুমকির মূখে। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করাই স্বাস্থ্য বিভাগের বড় চ্যালেন্স।