নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাতীয় শ্লোগান জয় বাংলা এবং জাতির পিতার ছবি অবমাননাকারীকে প্রদান করা হয়েছে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরষ্কার। একাধিক অনলাইন এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পরও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে জাতীয় শ্লোগান এবং জাতির পিতার ছবি অবমাননাকারীদেরকে বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করে চলেছেন বিসিক কর্তৃপক্ষ। যাকে বলা যায় “জামাই আদর”। এমন ঘটনায় বিস্মিত হয়েছেন বিসিকের দেশ প্রেমিক কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা। ১নং চিত্রে দেখা যাচ্ছে ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে বিসিক চেয়ারম্যান মুহঃ মাহবুবর রহমান এর হাত হতে শুদ্ধাচার পুরস্কার গ্রহণ করছেন ৩ আগষ্ট ২০২৩ তারিখে বিসিক ভবনে সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনার মাধ্যমে জাতীয় শ্লোগান জয় বাংলা এবং জাতির পিতার স্মরণে জয় বঙ্গবন্ধু খচিত ব্যানার ভাংচুরে নের্তৃত্বদানকারী জাতীয় শ্লোগান এবং জাতির পিতার অবমাননাকারী সরোয়ার হোসেন।
২নং চিত্রে দেখা যাচ্ছে অখিল রঞ্জন তরফদার, সরোয়ার হোসেন, জি,এম,রব্বানী তালুকদার এর নের্তৃত্বে কর্মকর্তা নামধারী কতিপয় লাঠিয়াল জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু খচিত ব্যানার ভাংচুর করছে, ব্যানার পা দিয়ে মোড়াচ্ছে, লাঠি হাতে কর্মচারী ইউনিয়ন নের্তৃবৃন্দকে আক্রমণ করার জন্য তেড়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে, দৈনিক টেলিগ্রাম পত্রিকায় ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে দৈনিক মুক্তবাংলা পত্রিকায় সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যার শিরোনাম ছিল “জাতির পিতার ছবি অবমাননাকারী পেলেন শুদ্ধাচার পুরষ্কার”।
বিসিক ভবনে অপ্রীতিকর ঘটনা সংক্রান্ত বিষয়ে দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে “কর্মচারী সমিতির কর্মসূচীতে অফিসার সমিতির হামলা”!, দৈনিক আজকের সংবাদ পত্রিকায় ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে “বিসিক ভবনে অপ্রীতিকর ঘটনা-কর্মচারী সমিতির কর্মসূচীতে অফিসার সমিতির হামলা”, সচিত্র সংবাদ, দৈনিক মুক্তবাংলা পত্রিকায় ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে “বিসিক ভবনে অপ্রীতিকর ঘটনা, জাতির পিতার ছবি অবমাননা, কর্মচারী ইউনিয়নের কর্মসূচীতে অফিসার সমিতির হামলা”! সচিত্র সংবাদ, দৈনিক সকালের সময় পত্রিকায় ২৮ সেপ্টেম্বর তারিখে বিসিক ভবনে জাতির পিতার ছবি ভাংচুর, কর্মচারী কর্মসচীতে হামলা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরও দোষী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেওয়ায় বিসিক প্রশাসনকে “রাজাকার প্রশাসন” হিসাবে আখ্যা দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি। বিসিক স্মারক নং-৩৬.০২.০০০০.০০৩.০৬.০০৩.২১.৭৬৪০ তারিখ ১০ অক্টোবর ২০২৩ এর মাধ্যমে ৬(ছয়) সদস্য বিশিষ্ট ২টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত কমিটির প্রথমটি হচ্ছে ৪টি নতুন পরিচালক পদের সৃজন ও সাংগঠনিক কাঠামো হালনাগাদকরণ, দ্বিতীয়টি হচ্ছে বিসিক প্রবিধানমালা হালনাগাদকরণ।
প্রথমোক্ত কমিটির ০৩নং ক্রমিকে উল্লিখিত ব্যক্তি অখিল রঞ্জন তরফদার যিনি বিসিক কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এবং ৩ আগষ্ট তারিখে বিসিক ভবনে সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনার সাথে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। দ্বিতীয় কমিটির ০৩নং ব্যক্তিটিও অখিল রঞ্জন তরফদার, ০৫নং ব্যক্তি বিসিক শৃংখলা শাখার উপব্যবস্থাপক আসিফ উল হাসান, যিনি জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু লিখা খচিত ব্যানার ভাংচুর, পায়ে মোড়ানো এবং একটি সরকারী অফিস লাঠি হাতে নিয়ে কর্মচারী ইউনিয়নের নের্তৃবৃন্দ এবং কর্মচারীদেরকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করার জন্য বার বার তেড়ে গেছেন। দ্বিতীয় কমিটির ০২নং সহযোগী সদস্য কর্মী ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ আরিফ হোসেন, যিনি জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু লিখা খচিত ব্যানার ভাংচুর, পায়ে মোড়ানো এবং একটি সরকারী অফিস লাঠি হাতে নিয়ে কর্মচারী ইউনিয়নের নের্তৃবৃন্দ এবং কর্মচারীদেরকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করার জন্য বার বার তেড়ে গেছেন। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরও নেয়া হয়নি তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার আইনানুগ ব্যবস্থা, বিসিক চেয়ারম্যান এবং পরিচালক (প্রশাসন) এর কৃপাধন্য হয়ে আছেন তারা স্বপদে বহাল তবিয়তে! প্রাপ্ত তথ্য মতে বিসিক চেয়ারম্যান এবং বিসিক পরিচালক পর্ষদের সদস্যবৃন্দ জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু লিখা খচিত ব্যানার ভাংচুর, পায়ে মোড়ানো এবং একটি সরকারী অফিস লাঠি হাতে নিয়ে কর্মচারী ইউনিয়নের নের্তৃবৃন্দ এবং কর্মচারীদেরকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করার কাজে জড়িতদের সাথে নিয়ে কার্য সম্পাদন করে চলেছেন। যার মাধ্যমে বিসিক চেয়ারম্যান, বিসিক পরিচালক পর্ষদের সদস্যদের পক্ষপাতমূলক আচরণের বিষয়টিকে সন্দেহাতীতভাবে সামনে নিয়ে আসে। “বিলম্বিত বিচার-প্রহসনের শামিল” তার উজ্জল দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করেছেন বিসিক চেয়ারম্যান মুহঃ মাহবুবর রহমান এবং বিসিক পরিচালক (প্রশাসন) শ্যামলী নবী।
৩ আগষ্ট তারিখে সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনার একই বিষয়ে চার ধরনের বিজ্ঞপ্তি বা আদেশ জারী করেছেন তারা। (১) ৩ আগষ্ট তারিখে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে আদেশ জারী করা হয়েছিল যেখানে তদন্ত কার্য সম্পাদনের জন্য ৩ কার্যদিবস সময় প্রদান করা হয়েছিল। (২) বিসিক অফিস স্মারক নং-৩৬.০২.০০০০.০০৩.১৮.০২৬.২৩.৭২৪৫, তারিখ ১০ আগষ্ট তারিখে জারীকৃত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তদন্ত কার্যে তথ্য/বক্তব্য প্রদান বিষয়ে সময়সীমা নির্ধারণ ব্যতীত স্বাক্ষ্য প্রদান বা বক্তব্য প্রদানের আদেশ জারী করা হয়। (৩) বিসিক অফিস স্মারক নং-৩৬.০২.০০০০.০০৩.১৮. ০২৬.২৩.৭৫৯৬, তারিখ ০৮ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে জারীকৃত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তদন্ত কার্যে কমিটির নিকট তথ্য/বক্তব্য প্রদান বিষয়ে পক্ষপাতের অন্যতম উদাহরণ দেখিয়ে শুধুমাত্র কর্মচারীদের নিকট লিখিত অথবা সরাসরি উপস্থিতির মাধ্যমে বক্তব্য প্রদানের অনুরোধ জানানো হয়। (৪) বিসিক অফিস স্মারক নং-৩৬.০২.০০০০.০০৩.১৮.০২৬.২৩.৭৬৫০, তারিখ ১০ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে জারীকৃত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ০৯.০০-১২.০০ টা পর্যন্ত কর্মচারীদের নিকট এবং ১২.০০-০৩.০০টা পর্যন্ত কর্মকর্তাদের নিকট লিখিত অথবা সরাসরি উপস্থিত হয়ে মৌখিক বক্তব্য প্রদানের বিজ্ঞপ্তি জারী করা হয়েছে।
৩ আগষ্ট তারিখে সংঘটিত অনিয়মের প্রত্যক্ষদর্শী পরিচালক(পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মোঃ আহসান কবীর এবং পরিচালক (প্রশাসন) শ্যামলী নবী কমিটির সদস্য এবং সদস্য-সচিব এর মতামত এবং বিসিক ভবনে স্থাপিত সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু লিখা খচিত ব্যানার ভাংচুর, পায়ে মোড়ানো এবং একটি সরকারী অফিস লাঠি হাতে নিয়ে কর্মচারী ইউনিয়নের নের্তৃবৃন্দ এবং কর্মচারীদেরকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করার কাজে জড়িতদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে গড়িমসি করার অন্যতম কারণ হচ্ছে ঘটনার সাথে জড়িত অখিল রঞ্জন তরফদার, সরোয়ার হোসেন, জিএম রব্বানী তালুকদার, আসিফ উল হাসান, মোঃ আরিফ হোসেন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা কর্মকর্তা পদে নিয়োজিত এবং তাদের মধ্যে জি,এম, রব্বানী তালুকদার, সরোয়ার হোসেন, আসিফ উল হাসান এবং মোঃ আরিফ হোসেন বিসিক চেয়ারম্যান এবং বিসিক পরিচালক পর্ষদের সদস্যদের পছন্দের লোক। তাদের অনুপস্থিতিতে বিসিক অফিস বন্ধ হয়ে যাবে এমনি একটি অবস্থা দেখা দিয়েছে বিসিক কর্তৃপক্ষের কার্যক্রমে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বিসিক চেয়ারম্যান এবং বিসিক পরিচালক পর্ষদ সুস্পষ্ট বার্তা দিচ্ছেন যে তারা জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধুর অবমাননাকারী, অশালীন এবং অশোভন আচরণের সাথে যুক্ত কর্মকর্তাদের রক্ষা করার জন্য যা করার দরকার তাই করবেন। ০৮ আগষ্ট তারিখে ৩ সদস্য বিশিষ্ট গঠিত তদন্ত কমিটির ৩ কার্য দিবস কত দিনে শেষ হবে এবং তাদের তদন্ত প্রতিবেদন এর স্বচ্ছতার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। প্রশ্নবিদ্ধ তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে আন্তরিকতা, সততা ও নিষ্ঠার সাথে সরকারী দায়িত্ব পালনের ব্যাপারটি, যা রহস্যে ঘেরা একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৩ আগষ্ট তারিখে সংঘটিত অনিয়মের প্রত্যক্ষদর্শী পরিচালক(পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মোঃ আহসান কবীর এবং পরিচালক (প্রশাসন) শ্যামলী নবী কমিটির সদস্য এবং সদস্য-সচিব এর মতামত এবং বিসিক ভবনে স্থাপিত সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু লিখা খচিত ব্যানার ভাংচুর, পায়ে মোড়ানো এবং একটি সরকারী অফিস লাঠি হাতে নিয়ে কর্মচারী ইউনিয়নের নের্তৃবৃন্দ এবং কর্মচারীদেরকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করার কাজে জড়িতদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে গড়িমসি করার অন্যতম কারণ হচ্ছে ঘটনার সাথে জড়িত অখিল রঞ্জন তরফদার, সরোয়ার হোসেন, জিএম রব্বানী তালুকদার, আসিফ উল হাসান, মোঃ আরিফ হোসেন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা কর্মকর্তা পদে নিয়োজিত এবং তাদের মধ্যে জি,এম, রব্বানী তালুকদার, সরোয়ার হোসেন, আসিফ উল হাসান এবং মোঃ আরিফ হোসেন বিসিক চেয়ারম্যান এবং বিসিক পরিচালক পর্ষদের সদস্যদের পছন্দের লোক। জাতীয় শ্লোগান জয় বাংলার অবমাননা এবং জাতির পিতার ছবি অবমাননা করে জয় বঙ্গবন্ধু লিখা খচিত ব্যানার ভাংচুর, পায়ে মোড়ানো এবং একটি সরকারী অফিস লাঠি হাতে নিয়ে কর্মচারী ইউনিয়নের নের্তৃবৃন্দ এবং কর্মচারীদেরকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করার কাজে জড়িতদের বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং দপ্তরসমূহ বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং বিসিকের প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় (শিল্প মন্ত্রণালয়) আর দেরী না করে যথাযথ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে-দেশ প্রেমিক জনগনের এটাই প্রত্যাশা।