মাহামুদুন নবী :
মাগুরা মহম্মদপুরের বিনোদপুর ইউনিয়নের ঘুল্লিয়া গ্রামে উপজেলা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুরে ও মঙ্গলবার সকাল ছয়টার পর থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায়-দফায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অন্তত ২০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ৫টি দোকান ঘর লুটপাট হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । সংঘর্ষের সময় অন্তত ৩০ জন আহত হয় । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ছয় রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করে। তবে সংঘর্ষে জড়ানো ব্যক্তিদের কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায়, উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিনোদপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শিকদার মিজানুর রহমান সমর্থকদের সাথে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম এবং পিকুর সমর্থকদের মধ্যে মনোমালিন্য চলে আসছিল। এ ঘটনার জের ধরেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, সোমবার সকালে বিনোদপুর বাজারে পিকুর বড় ভাই টিপু ঘুল্লিয়া গ্রামের জদন শেখের ছেলে ডেকোরেটর ব্যবসায়ী সেলিম শেখকে মারতে যায়। এসময় স্থানীয়রা থামিয়ে দিলেও পরবর্তীতে সকাল আট ঘটিকার সময় জাহাঙ্গীর মেম্বর ও হকোন মোল্যার ছেলে বাবু দুইজন ঘুল্লিয়া গ্রামের আবু তালেবের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আবু তালেব দুইজনকে উদ্দেশ্য করে বলে আমার বিরুদ্ধে তোমরা কেন মিথ্যাচার করছো। এসময় আবু তালেবকে বাবু মারধর করেন। উভয় ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হলে দুপুর বেলা দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও। মঙ্গলবার সকাল ৬ঘটিকার সময় পুনরায় উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে অন্তত ২০টি বাড়ি, ৫টি দোকান ঘর ভাংচুর সহ লুটপাটের ঘটনা ঘটে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৬ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করে। এসময় পুলিশের গুলিতে ফায়জুর খান (৩২) ও বাবু মোল্যা (৪৫) আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে একাধিক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের নাজিম খান (৩২), আজাহের শিকদার (৮৫), মাসুদ খান (৪০), জিবরিল খান (৫০), মতিয়ার মাষ্টার(৬৫), রাসেল মোল্যা (৩০), আকিদুল (২৫), নিজাম (২৫) গুরুত্বর আহত হয়ে মহম্মদপুর ও মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিংসা গ্রহণ করছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শালিখা-মহম্মদপুর সহকারী পুলিশ সুপার মুস্তাফিজুর রহমান (সার্কেল), ডিবি সদস্য, দাঙ্গা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
মহম্মদপুর থানা অফিসার ইনচার্জ বোরহান উল ইসলাম বলেন, এঘটনায় পুলিশ সংঘর্ষে জড়ানো ব্যক্তিদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ঘটনা স্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।