ঢাকা ০৮:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কালিহাতীতে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত পঞ্চগড়ে সমন্বয়ককে হুমকি, সাবেক এমপি মুক্তার বিরুদ্ধে জিডি ভারতে অনুপ্রবেশের সময় পঞ্চগড়ে শিশুসহ আটক- ৬ কোটালীপাড়ায় নিষিদ্ধ জাল জব্দ, মারধরের স্বীকার গ্রাম পুলিশ পঞ্চগড়ে চিকিৎসকের উপর হামলা: প্রতিবাদে মানববন্ধন মীমাংসিত সম্পত্তি দাম বেড়ে যাওয়ায় পূর্ণরায় দখলের পাঁয়তারা কালিহাতীতে সবজি চাষে বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ: প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন আদমদীঘিতে হত্যার হুমকি দিয়ে কিশোরীকে একাধিক বার ধর্ষণ: অতঃপর গ্রেপ্তার কালিয়াকৈরে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্কফোর্স কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত অবৈধ ম্যাজিক জাল উদ্ধারে গিয়ে গ্রামপুলিশ আহত

টাঙ্গাইলে গারো-কোচ সম্প্রদায়ের মানববন্ধন: ইউজিন নকরেকসহ ১১ জনের মুক্তির দাবি

শাহ আলম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি-

টাঙ্গাইলের মধুপুরে জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেকসহ ১১ জন বন্দির মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে গারো-কোচ সম্প্রদায়ের লোকজন।

১০ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার সকাল ১১টায় জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদ, সার্বিক মানব উন্নয়ন সংগঠন, আচিক মিচিক সোসাইটি এবং ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেনের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। মধুপুরের বিভিন্ন গ্রাম থেকে শত শত গারো-কোচ নারী-পুরুষ এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে।

মানববন্ধনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দের বক্তব্যঃ

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সাবেক সভাপতি অজয় এ মৃ, সহসভাপতি থমাস চাম্বুগং, গারো স্টুডেন্ট ফেডারেশনের মধুপুর শাখার সভাপতি তুষার নেকলা, বাগাছাসের মধুপুর শাখার লুসি রিছিল এবং কোচ আদিবাসী সংগঠনের নেতা ভরত বর্মন। সার্বিক মানব উন্নয়ন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দিন স্মারক পাঠ করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেনঃ

৫ সেপ্টেম্বর, টাঙ্গাইল কোর্টে হাজিরা দিতে গেলে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গাছ চুরির মামলায় ইউজিন নকরেকসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। তারা বলেন, এটি মিথ্যা মামলা এবং ভূমিহীন আদিবাসীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে দমন করার একটি অপচেষ্টা। উল্লেখ্য, সার্বিক মানব উন্নয়ন সংগঠনের ৮৪ শতাংশ জমি নিয়ে দায়ের করা মামলায় ইউজিন নকরেকসহ ১১ জনকে জেলে পাঠানো হয়।

মানববন্ধনের মাধ্যমে এই মামলা দ্রুত প্রত্যাহার এবং তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়। মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন স্মারক পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

কালিহাতীতে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

টাঙ্গাইলে গারো-কোচ সম্প্রদায়ের মানববন্ধন: ইউজিন নকরেকসহ ১১ জনের মুক্তির দাবি

আপডেট টাইম : ০৯:৪৮:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শাহ আলম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি-

টাঙ্গাইলের মধুপুরে জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেকসহ ১১ জন বন্দির মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে গারো-কোচ সম্প্রদায়ের লোকজন।

১০ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার সকাল ১১টায় জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদ, সার্বিক মানব উন্নয়ন সংগঠন, আচিক মিচিক সোসাইটি এবং ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেনের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। মধুপুরের বিভিন্ন গ্রাম থেকে শত শত গারো-কোচ নারী-পুরুষ এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে।

মানববন্ধনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দের বক্তব্যঃ

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সাবেক সভাপতি অজয় এ মৃ, সহসভাপতি থমাস চাম্বুগং, গারো স্টুডেন্ট ফেডারেশনের মধুপুর শাখার সভাপতি তুষার নেকলা, বাগাছাসের মধুপুর শাখার লুসি রিছিল এবং কোচ আদিবাসী সংগঠনের নেতা ভরত বর্মন। সার্বিক মানব উন্নয়ন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দিন স্মারক পাঠ করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেনঃ

৫ সেপ্টেম্বর, টাঙ্গাইল কোর্টে হাজিরা দিতে গেলে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গাছ চুরির মামলায় ইউজিন নকরেকসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। তারা বলেন, এটি মিথ্যা মামলা এবং ভূমিহীন আদিবাসীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে দমন করার একটি অপচেষ্টা। উল্লেখ্য, সার্বিক মানব উন্নয়ন সংগঠনের ৮৪ শতাংশ জমি নিয়ে দায়ের করা মামলায় ইউজিন নকরেকসহ ১১ জনকে জেলে পাঠানো হয়।

মানববন্ধনের মাধ্যমে এই মামলা দ্রুত প্রত্যাহার এবং তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়। মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন স্মারক পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।