আব্দুল্লাহ আল শাফী-
অন্তবর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার চীন সফরের গুরুত্ব উল্লেখ করে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, চীনের সাথে বাংলাদেশের আগের মতই সম্পর্ক থাকবে এবং ভবিষ্যতে সম্পর্কের কোন রকম চির ধরবে না বলে আমি বিশ্বাস করি, বরং দুই দেশের সম্পর্ক আরো গভীর হবে।
রোববার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দপ্তরে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের যেসব চুক্তির বিষয় রয়েছে এগুলি স্বাভাবিক নিয়মে এগোবে। নতুন করে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চীনের কাছে যে সব চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে সেগুলোর ব্যত্যয় ঘটবে না। চীন সবসময় বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে ছিল এবং ভবিষ্যতে থাকবে।
তিস্তা প্রকল্পের বিষয়ে আশ্বাস দিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, এই নিয়ে চীন কাজ করে যাচ্ছে, এটার সমাধান করা হবে। তিনি আরো বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদীর উপর ইন্ডিয়া যে বাঁধ নির্মাণ করেছে, চীন তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আশা করি ওখানেও দুই দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য কাজ করা যাবে।
৫ই আগস্টের ঘটনায় নিহত ও আহতদের চীনের পক্ষ থেকে যে সহযোগিতা করার কথা ছিল তা অব্যাহত থাকবে কিনা ? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে চীন। আমরা সব সময় বাংলাদেশের জনগণের পাশে আছি।
এদিকে আগামী ২০ জানুয়ারি ৩ দিনের সফরে চীন যাচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তোহিদ হাসান। এই প্রসঙ্গে ১৫ জানুয়ারী সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেছিলেন, এই সফরে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক সহ অনেক বিষয়ে আলোচনা হবে। চীন থেকে নেয়া সুদের হার কমানো এবং সময় বৃদ্ধির প্রসঙ্গে আলোচনা করা হবে। বাজেট সহায়তা নিয়েও কথা হবে এছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পের সহায়তা নিয়েও কথা হবে।
ঐ সময়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্ন জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছিলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চীন সরকারের যে ৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয়েছিল সেই প্রসঙ্গেও আলোচনা হবে।
এসময় চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দূতাবাসের আরও দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।