মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলায় রশুনিয়া গ্রামের সহিদুল হাওলাদার এর ৬ বছরের কন্যা শিশু ওয়াজ শুনতে গিয়ে নিখোঁজ হয় গত ২৫ ফেব্রুয়ারী ২৫ তারিখে। রশুনিয়া নূরানীয়া মাহামোদীয়া মাদ্রাসায় ১২ তম ওয়াজ মহফিলে ওয়াজ শুনতে চাচীর সাথে বিকেলে বের হয়,অবশেষে নিখোঁজের ৭২ ঘন্টা পর খুঁজে পাওয়া গেলো পুকুরে কচুরীপানার নিচে ডুবন্ত অবস্থায় ফাতেমার লাশ। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত ১ ঘটিকায় পশ্চিম রশুনিয়া গাজীমদ্দীন এর বাড়ির পূর্বপাশ্বের পুকুর থেকে নিখোঁজ ফাতিমার লাশ উদ্ধার করে সিরাজদিখান থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য যে ২৫ ফেব্রুয়ারী ওয়াজ শুনতে গিয়ে নিখোঁজ হয় ফাতেমা আক্তার। খোঁজাখুজির এক পযার্য়ে নিখোঁজ ফাতিমার পরিবার জানতে পারে একজন আইসক্রিম বিক্রেতার কাছে ছিলো বেশ কিছু সময়। এলাকাবাসী আইসক্রিম বিক্রেতা উত্তর তাজপুর চৌধুরীবাড়ি সমাজের বাসিন্দা নাহিদ খানের বড় ছেলে সাব্বির খান কে জিজ্ঞাসা করলে জবাব সন্দেহ জনক হওয়ায় তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয় স্থানীয় জনতা। লাশ উদ্ধার এর বিষয়ে সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)শাহেদ আল মামুন জানান শিশু নিখোঁজের ঘটনায় আমরা দুইজনকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করি। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য রিমান্ডের আবেদন করে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করি।জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আসামি স্বীকার করে পশ্চিম রশুনিয়ার গাজীমদ্দিনের বাড়ির পাশের পুকুরে শিশুটির লাশ তারা ডুবিয়ে রাখে । আমরা আসামির দেয়া তথ্য মোতাবেক শিশুটির লাশ উদ্ধারের সক্ষম হই। এই মামলা তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।