ঢাকা ০১:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচনে বিএনপির জয় নিশ্চিত জেনে কিছু দল পিআর পদ্ধতি চাইছে: আমিনুল হক নতুন ব্যাগ নিয়ে বিদ্যালয়ে হাজির ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের চমকে দিলেন ইউএনও আড়পাড়া ডিগ্রি কলেজে নিয়োগ বাণিজ্য ও স্বাক্ষর জালিয়াতি  গভর্নিং বডি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ বিশেষ চুক্তিতে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে রেটকোট ফাঁস করেছেন পিডি মঞ্জুরুল হক! ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী আনোয়ারার সঙ্গে দিয়ামনি ই-কমিউনিকেশনের সৌজন্য সাক্ষাৎ বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালে মাসুদ রানা ও নান্নুর ভয়ংকর সিন্ডিকেট! ষড়যন্ত্রকারী যত চেষ্টাই করুক; সফল হবে না, জনগণের সরকারই আগামী নির্বাচনে প্রতিষ্ঠিত হবে – আমিনুল হক নির্দিষ্ট কোন অভিযোগ ছাড়াই ১৬ প্রতিষ্ঠান সিলগালা করল বেবিচক মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ৭ মাস বয়সী দুই যজম কন্যা শিশুকে হত্যার অভিযোগ পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের সেই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত

কালিহাতীতে সেফটি ট্যাংক থেকে কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার-মায়ের হৃদয়বিদারক আহাজারি

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সেফটি ট্যাংকের অন্ধকার গহ্বরে নিথর দেহে পাওয়া গেলো কলেজপড়ুয়া এক তরুণের লাশ। ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করা আব্দুল আলীম আজ নিথর, নিশ্চুপ। তার মা আকলিমা বেগমের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে সাতুটিয়া দক্ষিণ পাড়ার আকাশ-বাতাস।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে সাতুটিয়া দক্ষিণ পাড়ার জামাল বাদশার বাড়ির পেছনের টয়লেটের সেফটি ট্যাংক থেকে আব্দুল আলীমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গলায় পেঁচানো ছিলো প্লাস্টিকের রশি, পেটে ছিল ছুরির গভীর ক্ষত। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা—শ্বাসরোধ করে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
আব্দুল আলীম (১৯) ঘাটাইল উপজেলার চানতারা গ্রামের সন্তান। সৌদি প্রবাসী জহুরুল ইসলাম নজরুলের ছেলে সে। পড়াশোনার স্বপ্নে বিভোর এই তরুণ কালিহাতী শাজাহান সিরাজ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
১২ এপ্রিল, শনিবার সকালে প্রাইভেট পড়তে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল সে। এরপর আর কোনো খোঁজ মেলেনি তার। রাতেই পরিবারের পক্ষ থেকে ঘাটাইল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরিবারের হৃদয়বিদারক অপেক্ষার অবসান ঘটে একটি মৃত্যুসংবাদে।
আব্দুলের ফুফাতো বোন মোচ্ছামত খালেদা আক্তার চোখের পানি মুছতে মুছতে বলেন, আলীম  সকালে বের হয়েছিল প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার জন্য। কে জানতো, ওর ফিরে আসা আর হবে না!
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) আদিবুল ইসলাম জানান, নিহতের মরদেহ  টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আশ্বাস দেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হবে।
তবে প্রশ্ন থেকে যায়—কে এমন নিষ্ঠুর? কার আক্রোশে প্রাণ গেলো এক সম্ভাবনাময় তরুণের? উত্তর জানে না কেউ, কিন্তু কালো মেঘে ঢেকে গেছে একটি মা-বাবার জীবন।
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনে বিএনপির জয় নিশ্চিত জেনে কিছু দল পিআর পদ্ধতি চাইছে: আমিনুল হক

কালিহাতীতে সেফটি ট্যাংক থেকে কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার-মায়ের হৃদয়বিদারক আহাজারি

আপডেট টাইম : ০৬:০৬:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সেফটি ট্যাংকের অন্ধকার গহ্বরে নিথর দেহে পাওয়া গেলো কলেজপড়ুয়া এক তরুণের লাশ। ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করা আব্দুল আলীম আজ নিথর, নিশ্চুপ। তার মা আকলিমা বেগমের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে সাতুটিয়া দক্ষিণ পাড়ার আকাশ-বাতাস।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে সাতুটিয়া দক্ষিণ পাড়ার জামাল বাদশার বাড়ির পেছনের টয়লেটের সেফটি ট্যাংক থেকে আব্দুল আলীমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গলায় পেঁচানো ছিলো প্লাস্টিকের রশি, পেটে ছিল ছুরির গভীর ক্ষত। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা—শ্বাসরোধ করে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
আব্দুল আলীম (১৯) ঘাটাইল উপজেলার চানতারা গ্রামের সন্তান। সৌদি প্রবাসী জহুরুল ইসলাম নজরুলের ছেলে সে। পড়াশোনার স্বপ্নে বিভোর এই তরুণ কালিহাতী শাজাহান সিরাজ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
১২ এপ্রিল, শনিবার সকালে প্রাইভেট পড়তে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল সে। এরপর আর কোনো খোঁজ মেলেনি তার। রাতেই পরিবারের পক্ষ থেকে ঘাটাইল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরিবারের হৃদয়বিদারক অপেক্ষার অবসান ঘটে একটি মৃত্যুসংবাদে।
আব্দুলের ফুফাতো বোন মোচ্ছামত খালেদা আক্তার চোখের পানি মুছতে মুছতে বলেন, আলীম  সকালে বের হয়েছিল প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার জন্য। কে জানতো, ওর ফিরে আসা আর হবে না!
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) আদিবুল ইসলাম জানান, নিহতের মরদেহ  টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আশ্বাস দেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হবে।
তবে প্রশ্ন থেকে যায়—কে এমন নিষ্ঠুর? কার আক্রোশে প্রাণ গেলো এক সম্ভাবনাময় তরুণের? উত্তর জানে না কেউ, কিন্তু কালো মেঘে ঢেকে গেছে একটি মা-বাবার জীবন।