াগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া ডিগ্রি কলেজে কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য এবং স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে নিজপন্থী একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনুমোদন করিয়েছেন তিনি।
অ্যাডহক কমিটির সভাপতি মফিজুর রহমান জানান, অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান কলেজ উন্নয়নের নামে গত কয়েক বছরে প্রায় ৪০ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগের বিপরীতে প্রত্যেক প্রার্থীর কাছ থেকে ১৫-১৮ লাখ টাকা করে আদায় করা হয়েছে, যার আনুমানিক পরিমাণ প্রায় ৬ কোটি টাকা। এই বিপুল অর্থের কোনো হিসাব আজ পর্যন্ত কলেজ কমিটির কাছে উপস্থাপন করা হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান তার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কলেজ পরিচালনায় একক কর্তৃত্ব কায়েম করেছেন। সভাপতির অনুপস্থিতিতে তাঁর স্বাক্ষর জাল করে নড়াইল জেলার লোহাগাড়া উপজেলার শিকদার মনিরুল ইসলাম নামক এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়ে অনুমোদন করান। যা আইনত সম্পূর্ণ অবৈধ।
এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে ২৫ জুন ২০২৫ তারিখে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। কলেজের বর্তমান গভর্নিং বডির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষক, অভিভাবক ও রাজনৈতিক মহল।
এদিকে, এসব অনিয়ম ও হিসাব না দেওয়ার বিপরীতে ১৯ জুন অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন, যা নিয়ে আরেকটি বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বোঝা যায়, তিনি একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠীকে খুশি করে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করার অপচেষ্টা করছেন।
আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই, কলেজে নিয়োগ বাণিজ্যের তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হোক।
স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে অনুমোদিত গভর্নিং বডি বাতিল করা হোক। কলেজে সুশাসন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রশাসক নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।