ঢাকা ০২:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সরকারী বিদ্যুৎ চুরি ও স্কুলের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ করে শ্রীনগরে বিএনপির ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৫ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সংখ্যালঘুদের দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে- আলতাফ হোসেন চৌধুরী হাই কোর্টের রিট শাখার জারিকারক রফিকুলের চাঁদাবাজি না মাস্তানি? মাগুরা ফায়ার সার্ভিসে অনিয়মের কেন্দ্রবিন্দুতে ডিএডি আলী সাজ্জাদ, ঘুষে ফায়ার লাইসেন্স, ভুয়া বিলের কারসাজি নির্বাচন পেছাতে ‘সংস্কার বিচারের’ নামে এখনও ষড়যন্ত্র চলছে: আমিনুল হক কারও অন্যায় কাজের দায় দল নেবে না: অন্যায়-অপকর্ম করলে ছাড় নেই- আব্দুস সালাম কালিহাতীতে পুলিশের অভিযানে ৮ জুয়ারি আটক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সিরাজদিখানে বিক্ষোভ বাংলাদেশিদের ভিসার বিষয়ে যা বললো ভারত

হাই কোর্টের রিট শাখার জারিকারক রফিকুলের চাঁদাবাজি না মাস্তানি?

হাই কোর্টের জারিকারক মোঃ রফিকুল ইসলাম ৩৪ লাখ টাকায় ফ্ল্যাট ক্রয় করে প্রভাব বিস্তার করে ফ্ল্যাট মালিকের নিকট থেকে আদায় করছেন ৪৬ লাখ টাকা। স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ২০২২ সালে রাজধানী মিরপুর রূপনগর আবাসিক এলাকায় ২৩ নম্বর রোডের, ২৪ নম্বর বাড়ীর, ৮ম তলার একটি ফ্ল্যাট ৩৪ লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করেন হাই কোর্টের রিট শাখার জারিকারক মোঃ রফিকুল ইসলাম। ফ্ল্যাটটি সমস্যা থাকার কারণে জারিকারক রফিকুল ইসলামকে রেজিষ্ট্রি করে দিতে পারেননি ফ্ল্যাট মালিক হাজী মোঃ জাকির হোসেন রতন। ৩ বছর পর রফিকুল ইসলাম তার টাকা ফেরৎ চাইলে ফ্ল্যাট মালিক তার ৩৪ লাখ টাকা ফেরৎ দিতে রাজি হন। কিন্তু ৩৪ লাখ টাকা দিলে রফিকুল ইসলামের চলবে না, তাকে দিতে হবে মূল টাকার সাথে আরও ১৬ লাখ টাকা বেশি, অর্থাৎ মোট দিতে হবে ৫০ লাখ টাকা।

ফ্ল্যাট মালিক অতিরিক্ত টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় রফিকুল ইসলাম ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে রূপনগরের বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান ও হান্নানসহ এলাকার আরও কিছু লোকজনকে সাথে নিয়ে গত ২৭শে মে ২০২৫ইং তারিখে রাত ৯টার সময় হাজী জাকির হোসেন রতনের রূপনগরের আরামবাগএলাকার ১৯নং রোডের ৪৮নং বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে জোর পূর্বক ভাবে ৫০ লাখ টাকা আদায় করে নেয়ার জন্য হাজী জাকির হোসেন রতনকে বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। চাপ প্রয়োগের এক পর্যয়ে জারিকারক রফিকুল ইসলামকে ৪৬ লাখ টাকা দিতে হবে মর্মে তিন শত টাকার ষ্ট্যাম্পে লিখিত করে নেন। এবং দুই মাসের মধ্যে ৪৬ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে। কোর্টের একজন জারিকারক হয়ে এতো টাকা কোথায় পেলো এমন প্রশ্নের হাত থেকে রেহায় পাওয়ার জন্য এবং নিজেকে সেভ রাখাতে ষ্ট্যাম্পে ওই ফ্ল্যাটের ক্রয় বিক্রয় অথবা ফেরতের কোন কথা উল্লেখ করেননি দূধর্ষ জারিকারক রফিকুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা তথ্য জানতে জারিকারক রফিকুল ইসলামের মুঠো ফোনে ফোন করলে কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে উল্টে রূপনগর থানায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হুমকী ধামকী দেছে মর্মে একটি সাধারণ ডায়রী করেন। রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানাধিন খাতিয়াল গ্রামে তিনি স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জারিকারক পদে চাকুরিতে যোগদান করেন। তিনি রাজধানী শান্তিনগর শহিদবাগের ৮৯৯ নম্বরের বাড়িটির ঠিকানা সব খানে ব্যবহার করে থাকেন কিন্তুশান্তিনগর শহিদবাগের ঠিকানায় গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারী বিদ্যুৎ চুরি ও স্কুলের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ করে শ্রীনগরে বিএনপির ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

হাই কোর্টের রিট শাখার জারিকারক রফিকুলের চাঁদাবাজি না মাস্তানি?

আপডেট টাইম : ০৭:১৬:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

হাই কোর্টের জারিকারক মোঃ রফিকুল ইসলাম ৩৪ লাখ টাকায় ফ্ল্যাট ক্রয় করে প্রভাব বিস্তার করে ফ্ল্যাট মালিকের নিকট থেকে আদায় করছেন ৪৬ লাখ টাকা। স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ২০২২ সালে রাজধানী মিরপুর রূপনগর আবাসিক এলাকায় ২৩ নম্বর রোডের, ২৪ নম্বর বাড়ীর, ৮ম তলার একটি ফ্ল্যাট ৩৪ লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করেন হাই কোর্টের রিট শাখার জারিকারক মোঃ রফিকুল ইসলাম। ফ্ল্যাটটি সমস্যা থাকার কারণে জারিকারক রফিকুল ইসলামকে রেজিষ্ট্রি করে দিতে পারেননি ফ্ল্যাট মালিক হাজী মোঃ জাকির হোসেন রতন। ৩ বছর পর রফিকুল ইসলাম তার টাকা ফেরৎ চাইলে ফ্ল্যাট মালিক তার ৩৪ লাখ টাকা ফেরৎ দিতে রাজি হন। কিন্তু ৩৪ লাখ টাকা দিলে রফিকুল ইসলামের চলবে না, তাকে দিতে হবে মূল টাকার সাথে আরও ১৬ লাখ টাকা বেশি, অর্থাৎ মোট দিতে হবে ৫০ লাখ টাকা।

ফ্ল্যাট মালিক অতিরিক্ত টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় রফিকুল ইসলাম ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে রূপনগরের বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান ও হান্নানসহ এলাকার আরও কিছু লোকজনকে সাথে নিয়ে গত ২৭শে মে ২০২৫ইং তারিখে রাত ৯টার সময় হাজী জাকির হোসেন রতনের রূপনগরের আরামবাগএলাকার ১৯নং রোডের ৪৮নং বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে জোর পূর্বক ভাবে ৫০ লাখ টাকা আদায় করে নেয়ার জন্য হাজী জাকির হোসেন রতনকে বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। চাপ প্রয়োগের এক পর্যয়ে জারিকারক রফিকুল ইসলামকে ৪৬ লাখ টাকা দিতে হবে মর্মে তিন শত টাকার ষ্ট্যাম্পে লিখিত করে নেন। এবং দুই মাসের মধ্যে ৪৬ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে। কোর্টের একজন জারিকারক হয়ে এতো টাকা কোথায় পেলো এমন প্রশ্নের হাত থেকে রেহায় পাওয়ার জন্য এবং নিজেকে সেভ রাখাতে ষ্ট্যাম্পে ওই ফ্ল্যাটের ক্রয় বিক্রয় অথবা ফেরতের কোন কথা উল্লেখ করেননি দূধর্ষ জারিকারক রফিকুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা তথ্য জানতে জারিকারক রফিকুল ইসলামের মুঠো ফোনে ফোন করলে কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে উল্টে রূপনগর থানায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হুমকী ধামকী দেছে মর্মে একটি সাধারণ ডায়রী করেন। রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানাধিন খাতিয়াল গ্রামে তিনি স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জারিকারক পদে চাকুরিতে যোগদান করেন। তিনি রাজধানী শান্তিনগর শহিদবাগের ৮৯৯ নম্বরের বাড়িটির ঠিকানা সব খানে ব্যবহার করে থাকেন কিন্তুশান্তিনগর শহিদবাগের ঠিকানায় গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।