ঢাকা ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
২০০ টাকার জন্য বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন মির্জাগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন মনপুরায় আগমনের সময় বাইক দূর্ঘটনায় আহত হন যুবদল নেতা রিপন ভারতে পালানোর সময় গোপালগঞ্জ জেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার মির্জাগঞ্জে “বন্ধু মহল”২০০১ অনুষ্ঠিত দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ গুম এবং চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে সকল শহীদ পরিবারের পাশে রয়েছে বিএনপি – আমিনুল হক ওয়ার্ড মেম্বারের চাউল চুরি ধরা পড়ায় সাংবাদিকদের হুমকি ঋণ নিয়ে ঋণ শোধ করার মতো বাজেট – আমিনুল হক মহম্মদপুর প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি টুটুল সম্পাদক মাসুদ

জয়পুরহাটে ক্ষেতলালে নিখোঁজের ৯ দিন পর আলোচিত কাফির লাশ উদ্ধার

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ০৯ (নয়দিন) আগে নিখোঁজ হওয়া শিশু কাফির লাশ উদ্ধার করেছে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ। সরেজমিনে জানাগেছে, ২৬ এপ্রিল (শনিবার) বেলা ১ টায় মশিউর রহমান কলমের স্ত্রী হাবিবা বেগম  গরুর খড় খুলতে গিয়ে দূর্গ্ধ পেয়ে পাশের বাড়িতে গিয়ে ডাক চিৎকার দিতে থাকে। তার এমন চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে গত কয়েকদিন আগে নিখোঁজ হওয়া কাফি খন্দকার (৮) এর লাশ ভিতর গাড়ী নামে একটি কচুরিপানাযুক্ত পরিত্যক্ত ডোবায় পড়ে দেখতে পান।
শিশু নিখোঁজের পর থেকে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা সহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার পর গতকাল শুক্রবার জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল ওয়াহাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরদিন ওই শিশুটির অর্ধগলিত মরদেহ গ্রামের পরিত্যক্ত ডোবার পারে পাওয়া যায়।
এঘটনায় শিশুটির বাবা ইকবাল খন্দকার বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে একই গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে সবুর (৪৫), আলম হোসেন (৪০) এবং মশিউর রহমান কলম (৩৫) আমার ছেলেকে গুম করে হত্যা করে পরিত্যক্ত ডোবায় ফেলে দিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রাসেল খন্দকার বলেন, আমার ধারণা শিশুটিকে গুম করার পর হত্যা করে কচুরিপানাযুক্ত ডোবায় ফেলে  দিয়েছে। এর সাথে জড়িত সকল অপরাধীকে তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ ঘটনাকে ঘিরে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত ওসি) দীপেন্দ্রনাথ সিং বলেন, এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল (শুক্রবার) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে খেলার কথা বলে কাফি খন্দকার বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। কালীতলা-আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদ রোডে সহলাপাড়া মোড়ে মোশারফ হোসেনের দোকানের সামনে সন্ধ্যার আগমুহূর্তে ওই শিশুটিকে খেলতে দেখা গেলেও এরপর থেকে আর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে ওই শিশুর পরিবার থেকে ক্ষেতলাল থানায় জিডি করা হয়।
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

২০০ টাকার জন্য বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন

জয়পুরহাটে ক্ষেতলালে নিখোঁজের ৯ দিন পর আলোচিত কাফির লাশ উদ্ধার

আপডেট টাইম : ১২:১৮:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ০৯ (নয়দিন) আগে নিখোঁজ হওয়া শিশু কাফির লাশ উদ্ধার করেছে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ। সরেজমিনে জানাগেছে, ২৬ এপ্রিল (শনিবার) বেলা ১ টায় মশিউর রহমান কলমের স্ত্রী হাবিবা বেগম  গরুর খড় খুলতে গিয়ে দূর্গ্ধ পেয়ে পাশের বাড়িতে গিয়ে ডাক চিৎকার দিতে থাকে। তার এমন চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে গত কয়েকদিন আগে নিখোঁজ হওয়া কাফি খন্দকার (৮) এর লাশ ভিতর গাড়ী নামে একটি কচুরিপানাযুক্ত পরিত্যক্ত ডোবায় পড়ে দেখতে পান।
শিশু নিখোঁজের পর থেকে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা সহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার পর গতকাল শুক্রবার জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল ওয়াহাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরদিন ওই শিশুটির অর্ধগলিত মরদেহ গ্রামের পরিত্যক্ত ডোবার পারে পাওয়া যায়।
এঘটনায় শিশুটির বাবা ইকবাল খন্দকার বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে একই গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে সবুর (৪৫), আলম হোসেন (৪০) এবং মশিউর রহমান কলম (৩৫) আমার ছেলেকে গুম করে হত্যা করে পরিত্যক্ত ডোবায় ফেলে দিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রাসেল খন্দকার বলেন, আমার ধারণা শিশুটিকে গুম করার পর হত্যা করে কচুরিপানাযুক্ত ডোবায় ফেলে  দিয়েছে। এর সাথে জড়িত সকল অপরাধীকে তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ ঘটনাকে ঘিরে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত ওসি) দীপেন্দ্রনাথ সিং বলেন, এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল (শুক্রবার) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে খেলার কথা বলে কাফি খন্দকার বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। কালীতলা-আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদ রোডে সহলাপাড়া মোড়ে মোশারফ হোসেনের দোকানের সামনে সন্ধ্যার আগমুহূর্তে ওই শিশুটিকে খেলতে দেখা গেলেও এরপর থেকে আর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে ওই শিশুর পরিবার থেকে ক্ষেতলাল থানায় জিডি করা হয়।