ঢাকা ০৭:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
যারা চাঁদাবাজি করতে আসবে তাদের খাম্বার সাথে বেঁধে রাখবেন- মুফতী ফয়জুল করিম টাঙ্গাইলে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটি গঠিত সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত  স্টার লাইন বাসের ধাক্কায় মাইক্রোবাস উল্টে নিহত ৪ গণধিকার পরিষদ জাতীয় সরকারকে সমর্থন করে- গাজীপুরে রাশেদ খান পঞ্চগড়ে আট দফা দাবিতে চা চাষীদের মানববন্ধন গাজীপুরে কাউন্সিলরের বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকতি মির্জাগঞ্জের বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান পুনর্গঠনের দাবি মেম্বারদের কালিহাতীতে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নব কমিটির সভাপতি মফিদুল, সম্পাদক শফিক ১০ জেলা রেজিস্ট্রার সহ পদোন্নতি পাওয়া ১০ সাব রেজিস্ট্রারকে জেলা রেজিস্ট্রার পদে বদলি

পল্লবীতে বিদেশে পাঠানোর নামে প্রতারণা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা

সোলায়মান
ঢাকা রাজধানীর পল্লবী সাড়ে এগারো অনিক প্লাজার তৃতীয় তলায় বিদেশ পাঠানোর নামে ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে বসেছে একটি চক্র। প্রতিষ্ঠানটির নাম “গ্রিন ভিসা”কনসালটেন্সি। প্রতারণাকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক রাজিব ও তামিম। তাদের ফেসবুকে পেজে দেওয়া হয় লোভনীয় চোমক অফার। আর লোভনীও অফার দেখে দেশের বেকার যুবক-যবতীরা ধরনা ধরছে ওই সকল প্রতারকদের কাছে। এর মধ্যে বিত্তপরিবারের মানুষ সহায়সম্বল বিক্রি ও ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে পরিবারকে একটু সচ্ছল রাখতে বিদেশ যাওয়ার আশায় লাখ লাখ টাকা তুলে দিচ্ছে গ্রিন ভিসার মালিক রাজিব ও তামিমের হাতে। টাকা নেওয়ার আগে মোটা বেতন থাকা খাওয়ার সুযোগ সুবিধাসহ বিভিন্ন অফারের কথা বলে চক্রের প্রধান রাজিব। কিন্তু টাকা নেওয়ার পর দিন মাস বছর ঘুরলেও স্বপ্নের দেশ ইতালির কানাডা ফ্রান্সে আর যাওয়া হয়না। তাদের ঋণের বোঝা দিনে দিনে বাড়তে থাকে এবং পরিবারের ভিতর নেমে আসে অশান্তি। এদিকে প্রতারণাকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরত দিতে চাননা। দেখান বিভিন্ন ভয়ভীতি। টাকা ফেরত চাইলে বলে ফাইল পাঠিয়েছি আমাদের লয়ার ওই দেশে কাজ করছে সে দেশ থেকে আপনাকে ভিসা না দিলে আমরা কিছু করতে পারবোনা। সর্বশেষ এক ভুক্তভোগী মাহাবুব রহমান গ্রিন ভিসার প্রতারণার শিকার হন, প্রথমে ফাইল কমপ্লিট করতে নেন ১২ হাজার টাকা। পরে আরো চান ৬ লাখ টাকা। পরে মাহবুব জানতে চান তার ভিসার কি অবস্থা। তারা বলেন কিছু দিনের মধ্যেই ভিসার আপডেট আপনার ইমেইলের মাধ্যমে জানতে পারবেন। হঠাৎ মাহাবুব আলমের ইমেলে একটি কানাডা ভিসা কনফার্মেশন ইমেল আসে। মেইল দেখেই সন্দেহ বাড়ে মাহবুবের। পরে বিভিন্ন অভিজ্ঞ মানুষের কাছে জানতে পারে এই মেইল গ্রিন ভিসার বানানো। এই ইমেল কানাডাদূতাবাসের ইমেল নয়। পরে টাকা ফেরত চাইলে গ্রিন ভিসা অফিসের লোকজন বিভিন্ন তাল বাহানা শুরু করে। এই বিষয়ে রাজিব বলেন, টাকা দিলে মার হবেই। বিদেশ যাওয়াটা ভাগ্য। আমরা চেষ্টা করতে পারি কিন্ত ওই দেশ ভিসা না দিলে আমাদের কিছু করার নেই। রাজিব আরো বলেন, পল্লবী থানার ওসির গাড়ী চালকের সাথে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রশাসনের লোকজন আমার ওখানে যাতায়াত করে। ভিসা না হলে টাকা ফেরত দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাছাড়া আমার অনেক খরচ লাগে অফিস চালাতে। অফিস ভাড়া, এসি বিল, পানির বিল, কারেন্ট বিল, স্টাফ বিল, এই সব খরচ তো আমি আমার বাড়ী থেকে এনে চালাবোনা। সরজমিনে জানা যায়, পল্লবীর অনিক প্লাজার মালিক কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বর্তমানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি নেতা। তার তত্বাবধানে ওই প্লাজায় এমন বহু ভুয়া প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মাসে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তাদের সেল্টার দেয়।
এবিষয়ে অনিক প্লাজার মালিক বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম বলেন, আমি তো ঢাকার বাইরে আছি, টাকা পয়সা নিয়ে যদি প্রতারণা করে থাকে তাহলে আমাকে বইলেন যতদুর করা সম্ভব আমি চেষ্টা করবো সমাধান করার।
এবিষয়ে পল্লবী থানার ওসি মাহফুজ বলেন অভিযোগকারী পেলে ব্যবস্থা নিবো।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

যারা চাঁদাবাজি করতে আসবে তাদের খাম্বার সাথে বেঁধে রাখবেন- মুফতী ফয়জুল করিম

পল্লবীতে বিদেশে পাঠানোর নামে প্রতারণা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা

আপডেট টাইম : ১১:১৭:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩

সোলায়মান
ঢাকা রাজধানীর পল্লবী সাড়ে এগারো অনিক প্লাজার তৃতীয় তলায় বিদেশ পাঠানোর নামে ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে বসেছে একটি চক্র। প্রতিষ্ঠানটির নাম “গ্রিন ভিসা”কনসালটেন্সি। প্রতারণাকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক রাজিব ও তামিম। তাদের ফেসবুকে পেজে দেওয়া হয় লোভনীয় চোমক অফার। আর লোভনীও অফার দেখে দেশের বেকার যুবক-যবতীরা ধরনা ধরছে ওই সকল প্রতারকদের কাছে। এর মধ্যে বিত্তপরিবারের মানুষ সহায়সম্বল বিক্রি ও ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে পরিবারকে একটু সচ্ছল রাখতে বিদেশ যাওয়ার আশায় লাখ লাখ টাকা তুলে দিচ্ছে গ্রিন ভিসার মালিক রাজিব ও তামিমের হাতে। টাকা নেওয়ার আগে মোটা বেতন থাকা খাওয়ার সুযোগ সুবিধাসহ বিভিন্ন অফারের কথা বলে চক্রের প্রধান রাজিব। কিন্তু টাকা নেওয়ার পর দিন মাস বছর ঘুরলেও স্বপ্নের দেশ ইতালির কানাডা ফ্রান্সে আর যাওয়া হয়না। তাদের ঋণের বোঝা দিনে দিনে বাড়তে থাকে এবং পরিবারের ভিতর নেমে আসে অশান্তি। এদিকে প্রতারণাকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরত দিতে চাননা। দেখান বিভিন্ন ভয়ভীতি। টাকা ফেরত চাইলে বলে ফাইল পাঠিয়েছি আমাদের লয়ার ওই দেশে কাজ করছে সে দেশ থেকে আপনাকে ভিসা না দিলে আমরা কিছু করতে পারবোনা। সর্বশেষ এক ভুক্তভোগী মাহাবুব রহমান গ্রিন ভিসার প্রতারণার শিকার হন, প্রথমে ফাইল কমপ্লিট করতে নেন ১২ হাজার টাকা। পরে আরো চান ৬ লাখ টাকা। পরে মাহবুব জানতে চান তার ভিসার কি অবস্থা। তারা বলেন কিছু দিনের মধ্যেই ভিসার আপডেট আপনার ইমেইলের মাধ্যমে জানতে পারবেন। হঠাৎ মাহাবুব আলমের ইমেলে একটি কানাডা ভিসা কনফার্মেশন ইমেল আসে। মেইল দেখেই সন্দেহ বাড়ে মাহবুবের। পরে বিভিন্ন অভিজ্ঞ মানুষের কাছে জানতে পারে এই মেইল গ্রিন ভিসার বানানো। এই ইমেল কানাডাদূতাবাসের ইমেল নয়। পরে টাকা ফেরত চাইলে গ্রিন ভিসা অফিসের লোকজন বিভিন্ন তাল বাহানা শুরু করে। এই বিষয়ে রাজিব বলেন, টাকা দিলে মার হবেই। বিদেশ যাওয়াটা ভাগ্য। আমরা চেষ্টা করতে পারি কিন্ত ওই দেশ ভিসা না দিলে আমাদের কিছু করার নেই। রাজিব আরো বলেন, পল্লবী থানার ওসির গাড়ী চালকের সাথে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রশাসনের লোকজন আমার ওখানে যাতায়াত করে। ভিসা না হলে টাকা ফেরত দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাছাড়া আমার অনেক খরচ লাগে অফিস চালাতে। অফিস ভাড়া, এসি বিল, পানির বিল, কারেন্ট বিল, স্টাফ বিল, এই সব খরচ তো আমি আমার বাড়ী থেকে এনে চালাবোনা। সরজমিনে জানা যায়, পল্লবীর অনিক প্লাজার মালিক কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বর্তমানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি নেতা। তার তত্বাবধানে ওই প্লাজায় এমন বহু ভুয়া প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মাসে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তাদের সেল্টার দেয়।
এবিষয়ে অনিক প্লাজার মালিক বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম বলেন, আমি তো ঢাকার বাইরে আছি, টাকা পয়সা নিয়ে যদি প্রতারণা করে থাকে তাহলে আমাকে বইলেন যতদুর করা সম্ভব আমি চেষ্টা করবো সমাধান করার।
এবিষয়ে পল্লবী থানার ওসি মাহফুজ বলেন অভিযোগকারী পেলে ব্যবস্থা নিবো।