ঢাকা ১১:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পঞ্চগড়ে চিকিৎসকের উপর হামলা: প্রতিবাদে মানববন্ধন মীমাংসিত সম্পত্তি দাম বেড়ে যাওয়ায় পূর্ণরায় দখলের পাঁয়তারা কালিহাতীতে সবজি চাষে বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ: প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন আদমদীঘিতে হত্যার হুমকি দিয়ে কিশোরীকে একাধিক বার ধর্ষণ: অতঃপর গ্রেপ্তার কালিয়াকৈরে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্কফোর্স কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত অবৈধ ম্যাজিক জাল উদ্ধারে গিয়ে গ্রামপুলিশ আহত আদমদীঘিতে উপজেলা ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিশাল কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত গাজীপুরে আড়ম্বরপূর্ণভাবে কালবেলার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন দুর্নীতি ও লুটপাটের পরেও অর্থনীতি টিকে আছে পোশাক শিল্পের উপর- উপদেষ্টা আসিফ অনলাইনে সরব: অডিও কলে সমন্বয়ককে ধমকালেন সাবেক এমপি নাঈমুজ্জামান

অবৈধ সম্পদ অর্জন: ডিএসসিসির হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

স্টাফ রিপোর্টার :
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ছানোয়ারা খাতুনের নামে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আরিফ সাদেক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার সংস্থাটির সহকারী পরিচালক সোমা হোড় বাদী হয়ে সংস্থাটির ঢাকা-১ এর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা ও দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি শফিকুল ইসলাম অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ স্ত্রীর মাধ্যমে বৈধতা দানের চেষ্টা করেছেন। সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগে এই দম্পতির সম্পদ বিবরণী তলব করে দুদক।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি ছানোয়ারা খাতুন ১৯৯০ সালে সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে ঢাকা সিটি করপোরেশনে যোগদান করেন। ১৫ বছর চাকরি করার পর ২০০৫ সালে তিনি চাকরি ছেড়ে ব্যবসায়ে নিয়োজিত হন।
তিনি ব্যবসার ধরন হিসেবে প্রথম শ্রেণির ঠিকাদারি সরবরাহকারী উল্লেখ করেন। আয়কর নথি পর্যালোচনায় ২০০৪-২০০৫ করবর্ষ থেকে ২০১৮-১৯ করবর্ষ পর্যন্ত ব্যবসা থেকে আয় প্রদর্শন করেন ৯৩ লাখ ৩১ হাজার ৭০৫ টাকা। তিনি ব্যবসা সংক্রান্ত ট্রেড লাইসেন্স ব্যতীত ব্যবসা পরিচালনার সঙ্গে প্রযোজ্য রেকর্ড পত্র যেমন কর্মচারী নিয়োগ, তাদের বেতন, মালামাল ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র, কোনো গোডাউন/শোরুম/দোকান বা অফিস মালামাল ক্রয় বিক্রয়ের স্বপক্ষে কোনো গ্রহণযোগ্য তথ্য রেকর্ড পত্র উপস্থাপন করতে পারেননি।

এজাহারে আরও বলা হয়, মোছা. ছানোয়ারা খাতুনের সম্পদ বিবরণী পর্যালোচনায় দেখা যায় তার মোট সম্পদের মধ্যে ব্যবসার পুঁজি ৯ লাখ টাকা উল্লেখ করেছেন। তিনি ৫১ লাখ টাকার বিপরীতে আয়কর অধ্যাদেশ, ৮৪ এর ১৯ (বি) ধারায় কর পরিশোধ করেছেন। তিনি হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স হতে ঋণ ৪৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা অগ্রিম গ্রহণ করেন। যা গ্রহণযোগ্য মর্মে প্রমাণ হয়।
অন্যদিকে আসামি শফিকুল ইসলাম বিদেশ থেকে প্রাপ্ত ২০ লাখ টাকা তার স্ত্রী মোছা. ছানোয়ারা খাতুনকে ঋণ প্রদান করেন। আসামি মো. শফিকুল ইসলাম ২০০৯ সালে ফেনী সোনাগাজী উপজেলার মির্জাপুর মৌজায় ১১ শতক নাল জমি ২ লাখ ৮ হাজার টাকায় ক্রয় করেন। ওই জমি পরের বছর তার স্ত্রীকে দান করে। আসামি ৮৩ লাখ ৮৭ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করে বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণ হয়েছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

পঞ্চগড়ে চিকিৎসকের উপর হামলা: প্রতিবাদে মানববন্ধন

অবৈধ সম্পদ অর্জন: ডিএসসিসির হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আপডেট টাইম : ০৯:০৫:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার :
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ছানোয়ারা খাতুনের নামে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আরিফ সাদেক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার সংস্থাটির সহকারী পরিচালক সোমা হোড় বাদী হয়ে সংস্থাটির ঢাকা-১ এর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা ও দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি শফিকুল ইসলাম অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ স্ত্রীর মাধ্যমে বৈধতা দানের চেষ্টা করেছেন। সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগে এই দম্পতির সম্পদ বিবরণী তলব করে দুদক।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি ছানোয়ারা খাতুন ১৯৯০ সালে সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে ঢাকা সিটি করপোরেশনে যোগদান করেন। ১৫ বছর চাকরি করার পর ২০০৫ সালে তিনি চাকরি ছেড়ে ব্যবসায়ে নিয়োজিত হন।
তিনি ব্যবসার ধরন হিসেবে প্রথম শ্রেণির ঠিকাদারি সরবরাহকারী উল্লেখ করেন। আয়কর নথি পর্যালোচনায় ২০০৪-২০০৫ করবর্ষ থেকে ২০১৮-১৯ করবর্ষ পর্যন্ত ব্যবসা থেকে আয় প্রদর্শন করেন ৯৩ লাখ ৩১ হাজার ৭০৫ টাকা। তিনি ব্যবসা সংক্রান্ত ট্রেড লাইসেন্স ব্যতীত ব্যবসা পরিচালনার সঙ্গে প্রযোজ্য রেকর্ড পত্র যেমন কর্মচারী নিয়োগ, তাদের বেতন, মালামাল ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র, কোনো গোডাউন/শোরুম/দোকান বা অফিস মালামাল ক্রয় বিক্রয়ের স্বপক্ষে কোনো গ্রহণযোগ্য তথ্য রেকর্ড পত্র উপস্থাপন করতে পারেননি।

এজাহারে আরও বলা হয়, মোছা. ছানোয়ারা খাতুনের সম্পদ বিবরণী পর্যালোচনায় দেখা যায় তার মোট সম্পদের মধ্যে ব্যবসার পুঁজি ৯ লাখ টাকা উল্লেখ করেছেন। তিনি ৫১ লাখ টাকার বিপরীতে আয়কর অধ্যাদেশ, ৮৪ এর ১৯ (বি) ধারায় কর পরিশোধ করেছেন। তিনি হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স হতে ঋণ ৪৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা অগ্রিম গ্রহণ করেন। যা গ্রহণযোগ্য মর্মে প্রমাণ হয়।
অন্যদিকে আসামি শফিকুল ইসলাম বিদেশ থেকে প্রাপ্ত ২০ লাখ টাকা তার স্ত্রী মোছা. ছানোয়ারা খাতুনকে ঋণ প্রদান করেন। আসামি মো. শফিকুল ইসলাম ২০০৯ সালে ফেনী সোনাগাজী উপজেলার মির্জাপুর মৌজায় ১১ শতক নাল জমি ২ লাখ ৮ হাজার টাকায় ক্রয় করেন। ওই জমি পরের বছর তার স্ত্রীকে দান করে। আসামি ৮৩ লাখ ৮৭ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করে বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণ হয়েছে।