ঢাকা ১০:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ছেলে ওসি সেই প্রভাবে আওয়ামী লীগ নেতার সরকারি খাল দখল করে মৎস খামার করার অভিযোগ! ক্রীড়া উপদেষ্টার স্বেচ্ছাচারিতায় ক্রীড়াঙ্গন ধ্বংসের পথে: আমিনুল হক সান্তাহারে বিএনপির ছত্রছায়ায় আ’লীগ পদধারী নেতারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮০ তম জন্মদিন উপলক্ষে মনপুরা উপজেলায় বিএনপির দোয়া মাহফিল দেশব্যাপী প্রতিভা খোঁজে ‘নতুন কুঁড়ি’ ফিরিয়ে আনবে বিএনপি : আমিনুল হক মাগুরার শ্রীপুরে বালু ফেলে জমি দখলের অভিযোগ ! মহম্মদপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অসহায়ত্ব প্রকাশ মাগুরায় মাই টিভির সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন মির্জাগঞ্জে বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত মাগুরা বিএডিসি গোডাউন থেকে ডিলারের নামে অবৈধ সার বিক্রি স্থানীয়দের হাতে ধরা, তদন্তে দুর্নীতি-সিন্ডিকেট

গাজীপুরে আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের মানববন্ধন

গাজীপর প্রতিনিধি- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ২৫টি ক্যাডারের সংগঠন ‘আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’ এর উদ্যোগে সারা দেশের ন্যায় গাজীপুরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটা থেকে বারোটা পর্যন্ত গাজীপুর প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন পালন করা হয়।
এতে প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া বাকি ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের উপসচিব পুলে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা রেখে অন্যান্য ২৫টি ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিস থেকে আলাদা করার সুপারিশের সিদ্ধান্তে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২৫টি ক্যাডার নিয়ে গঠিত আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা ছাড়া এমন সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, এগ্রিকালচার এর ডিডি রকিবুল ইসলাম,গাজীপুর সিভিল সার্জন মাহমুদা আক্তার,গাজীপুর জেলা পরিসংখ্যান অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাহনুমা, গাজীপুর সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক (গনিত) আমিনুল ইসলাম, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কাশেম স্বপন,জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার নারগিস খানম।

বক্তারা বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গঠিত সংস্কার কমিশনের মধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সরকারের সব নীতি নির্ধারণ করে  এবং বাস্তবায়নে নেতৃত্ব প্রদান করে সিভিল প্রশাসন। যা বর্তমানে ২৬টি ক্যাডার নিয়ে গঠিত। যেখানে কার্যকর রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়তে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের আমূল পরিবর্তন দরকার। সেখানে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বৈষম্যমূলকভাবে উপসচিব পুলে একটি ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা সুপারিশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। পরে মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করায় সিভিল সার্ভিসের অন্য ২৫টি ক্যাডারের সব সদস্যের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, কমিশনের সিদ্ধান্তের সুযোগ নিয়ে একটি গ্রুপ ইতোমধ্যে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যমূলক তথ্য প্রচার শুরু করেছে। সিনিয়র সার্ভিস পুলের (বা উপসচিব পুল) পদ কোনো নির্দিষ্ট ক্যাডারের নয়। সার্ভিস অ্যাক্ট ১৯৭৫ অনুযায়ী মেধার ভিত্তিতে এসব পদে নিয়োগের কথা থাকলেও বিভিন্ন অজুহাতে কোটা পদ্ধতি চালু রেখেছে প্রশাসন ক্যাডার।

তারা অভিযোগ করেন, সিভিল সার্ভিসের কার্যকর সেবা নিশ্চিত করতে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ থেকে কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবি করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে স্ব-স্ব ক্যাডারের অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মকর্তারা পদায়িত হবেন। বর্তমানে প্রতিটি সেক্টরে নীতি নির্ধারণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যরা। যারা সেই সেক্টর সম্পর্কে অনভিজ্ঞ ও অদক্ষ। ফলে সেক্টরগুলো কাঙ্ক্ষিত জনসেবা নিশ্চিত করতে পারছে না। তাছাড়া সব সেক্টরে একটি ক্যাডারের নিয়ন্ত্রণ থাকায় সৃষ্ট আমলাতান্ত্রিক সিন্ডিকেট, অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও বৈষম্য রাষ্ট্রের সব সেক্টরকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। দেশের মানুষ প্রকৃত জনসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জনবান্ধব সরকারের পরিবর্তে দেশে বিভিন্ন সময়ে গড়ে উঠেছে জনবিচ্ছিন্ন স্বৈরাচারী সরকার।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

ছেলে ওসি সেই প্রভাবে আওয়ামী লীগ নেতার সরকারি খাল দখল করে মৎস খামার করার অভিযোগ!

গাজীপুরে আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের মানববন্ধন

আপডেট টাইম : ১১:২৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজীপর প্রতিনিধি- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ২৫টি ক্যাডারের সংগঠন ‘আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’ এর উদ্যোগে সারা দেশের ন্যায় গাজীপুরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটা থেকে বারোটা পর্যন্ত গাজীপুর প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন পালন করা হয়।
এতে প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া বাকি ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের উপসচিব পুলে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা রেখে অন্যান্য ২৫টি ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিস থেকে আলাদা করার সুপারিশের সিদ্ধান্তে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২৫টি ক্যাডার নিয়ে গঠিত আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা ছাড়া এমন সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, এগ্রিকালচার এর ডিডি রকিবুল ইসলাম,গাজীপুর সিভিল সার্জন মাহমুদা আক্তার,গাজীপুর জেলা পরিসংখ্যান অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাহনুমা, গাজীপুর সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক (গনিত) আমিনুল ইসলাম, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কাশেম স্বপন,জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার নারগিস খানম।

বক্তারা বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গঠিত সংস্কার কমিশনের মধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সরকারের সব নীতি নির্ধারণ করে  এবং বাস্তবায়নে নেতৃত্ব প্রদান করে সিভিল প্রশাসন। যা বর্তমানে ২৬টি ক্যাডার নিয়ে গঠিত। যেখানে কার্যকর রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়তে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের আমূল পরিবর্তন দরকার। সেখানে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বৈষম্যমূলকভাবে উপসচিব পুলে একটি ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা সুপারিশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। পরে মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করায় সিভিল সার্ভিসের অন্য ২৫টি ক্যাডারের সব সদস্যের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, কমিশনের সিদ্ধান্তের সুযোগ নিয়ে একটি গ্রুপ ইতোমধ্যে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যমূলক তথ্য প্রচার শুরু করেছে। সিনিয়র সার্ভিস পুলের (বা উপসচিব পুল) পদ কোনো নির্দিষ্ট ক্যাডারের নয়। সার্ভিস অ্যাক্ট ১৯৭৫ অনুযায়ী মেধার ভিত্তিতে এসব পদে নিয়োগের কথা থাকলেও বিভিন্ন অজুহাতে কোটা পদ্ধতি চালু রেখেছে প্রশাসন ক্যাডার।

তারা অভিযোগ করেন, সিভিল সার্ভিসের কার্যকর সেবা নিশ্চিত করতে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ থেকে কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবি করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে স্ব-স্ব ক্যাডারের অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মকর্তারা পদায়িত হবেন। বর্তমানে প্রতিটি সেক্টরে নীতি নির্ধারণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যরা। যারা সেই সেক্টর সম্পর্কে অনভিজ্ঞ ও অদক্ষ। ফলে সেক্টরগুলো কাঙ্ক্ষিত জনসেবা নিশ্চিত করতে পারছে না। তাছাড়া সব সেক্টরে একটি ক্যাডারের নিয়ন্ত্রণ থাকায় সৃষ্ট আমলাতান্ত্রিক সিন্ডিকেট, অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও বৈষম্য রাষ্ট্রের সব সেক্টরকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। দেশের মানুষ প্রকৃত জনসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জনবান্ধব সরকারের পরিবর্তে দেশে বিভিন্ন সময়ে গড়ে উঠেছে জনবিচ্ছিন্ন স্বৈরাচারী সরকার।