ঢাকা ০৬:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভর্তি ও নিয়োগ পরীক্ষার সম্মানী বন্টনের আর্থিক নীতিমালা মানছেন না ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ড. শামসুন্নাহার নওগাঁয় পুকুর লিজ না পেয়ে লিজ প্রাপ্ত ব্যাক্তিকে হুমকি-মটর সাইকেলে আগুন জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে শিক্ষা-স্বাস্থ্য সেবা বিনামূল্যে নিশ্চিত করা হবে: আমিনুল হক পঞ্চগড়ে কোচিংয়ে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করা শিক্ষক মোস্তাফিজুরের ১০ বছরের কারাদণ্ড টাঙ্গাইলে দুর্গাপূজা উদযাপন প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত সৎ মানুষদের রাজনীতিতে আসতেই হবে- জনতার দলের চেয়ারম্যান পঞ্চগড়ে মাদ্রাসা শিক্ষককে শারীরিক নির্যাতন এর প্রতিবাদ মাগুরা-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন দৌড়ে হেভিওয়েট নেতাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নওগাঁয় সাংবাদিক’র ওপর হামলার প্রধান আসামি কারাগারে প্রেরণ  জেলা জজের দুর্নীতি আড়াল করতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবের পদক্ষেপ কামনা:

ভর্তি ও নিয়োগ পরীক্ষার সম্মানী বন্টনের আর্থিক নীতিমালা মানছেন না ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ড. শামসুন্নাহার

ইডেন মহিলা কলেজের পাবলিক এবং বিভিন্ন ভর্তি ও নিয়োগ পরীক্ষার নীতিমালায় স্পষ্টত: অনিয়ম রয়েছে। এ কারণে শিক্ষকদের এই সকল পরীক্ষা পরিচালনার জন্য একটি ‘সুষ্ঠ নীতিমালা’ প্রণয়়নের দাবি করে আসছেন। বিগত সময়ে়র অধ্যক্ষরা তাদের রাজনৈতিক খুঁটির জোরে এবং অফিসের সহায়তায়় নিজেদের ইচ্ছেমতো পরীক্ষাগুলো পরিচালনা করেছেন সরকারি পরিপত্রের তোয়াক্কা না করে। সে সময় সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যরা একটি সুষ্ঠ নীতিমালা প্রণয়়নে ব্যর্থ হয়ে়ছেন।
জুলাই অভ্যুত্থানের পরে অর্ন্তবর্তীকালীন সংস্কারপন্থী সরকারের সময় বর্তমান অধ্যক্ষ অধ্যাপক  ড. শামসুন্নাহার দায়িত্বপ্রাপ্ত হবার পর সকল শিক্ষক আশান্বিত হয়েছিলেন যে,এবার হয়তো ‘সুষ্ঠ নীতিমালা’ প্রণয়়ন হবে। কিন্তু অধ্যক্ষের দায়ি়ত্ব নেবার পর দেখা যায়় যে বিভিন্ন বিষয়ে় তিনি একাডেমিক কাউন্সিলকে পাশ কাটিয়ে একক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন ।

তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মেরও অভিযোগ রয়েছে, তিনি সরকারি পরিপত্রের তোয়াক্কা না করে, নিজের ইচ্ছে মতো বিশেষ করে একদিনের নিয়োগ পরীক্ষা ও ভর্তি পরীক্ষার কমিটি গঠন, ভিজিলেন্স এর দায়িত্ব বন্টন করছেন। সম্মানী বন্টনে ব্যপক আর্থিক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। এখানে উল্লেখ্য ইডেন মহিলা কলেজ ব্যতীত বাকি সরকারি প্রায় ছয় কলেজেই একই রকম নীতিমালায়় বিভিন্ন নিয়োগ ও ভর্তি পরীক্ষা পরিচালিত হয়। ঢাকার আশেপাশের কলেজগুলোতে একই বন্টন নীতিমালায়় সম্মানী বন্টিত হয়। শুধুমাত্র ইডেন মহিলা কলেজে এই নীতিমালা প্রণয়়ন করা যায়়নি।

অভিযোগ রয়েছে, যেখানে একজন কক্ষ প্রত্যবেক্ষক এক ঘন্টা এবং দেড় ঘন্টার পরীক্ষায়় ১৬০০/-টাকা এবং ১৮০০/-টাকা সম্মানী পান। সেক্ষেত্রে কোন কোন ক্ষেত্রে অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষ লক্ষাধিক এবং তার কাছাকাছি টাকা নিয়ে় থাকেন । কলেজের হেড ক্লার্ক এবং হিসাব রক্ষকও একজন কক্ষ প্রত্যবেক্ষকের চেয়ে ১০গুন থেকে ১২গুণ টাকা বেশি পেয়ে় থাকেন। ফলে শিক্ষকদের মধ্যে মারাত্মক ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়ে়ছে।

অতি সম্প্রতি অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষার বন্টন নীতির পরিবর্তন এনেছেন কিন্তু একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদনের প্রয়োজন বোধ করেননি । এ বিষয়ে তাকে  প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটা তার একান্ত নিজের সিদ্ধান্ত, তিনি ইচ্ছা করলে একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন নাও নিতে পারেন। এ কারণে শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। ভুক্তভোগি শিক্ষকরা এ বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিবের পদক্ষেপ কামনা করেছেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

ভর্তি ও নিয়োগ পরীক্ষার সম্মানী বন্টনের আর্থিক নীতিমালা মানছেন না ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ড. শামসুন্নাহার

শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবের পদক্ষেপ কামনা:

ভর্তি ও নিয়োগ পরীক্ষার সম্মানী বন্টনের আর্থিক নীতিমালা মানছেন না ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ড. শামসুন্নাহার

আপডেট টাইম : ১২:০৭:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইডেন মহিলা কলেজের পাবলিক এবং বিভিন্ন ভর্তি ও নিয়োগ পরীক্ষার নীতিমালায় স্পষ্টত: অনিয়ম রয়েছে। এ কারণে শিক্ষকদের এই সকল পরীক্ষা পরিচালনার জন্য একটি ‘সুষ্ঠ নীতিমালা’ প্রণয়়নের দাবি করে আসছেন। বিগত সময়ে়র অধ্যক্ষরা তাদের রাজনৈতিক খুঁটির জোরে এবং অফিসের সহায়তায়় নিজেদের ইচ্ছেমতো পরীক্ষাগুলো পরিচালনা করেছেন সরকারি পরিপত্রের তোয়াক্কা না করে। সে সময় সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যরা একটি সুষ্ঠ নীতিমালা প্রণয়়নে ব্যর্থ হয়ে়ছেন।
জুলাই অভ্যুত্থানের পরে অর্ন্তবর্তীকালীন সংস্কারপন্থী সরকারের সময় বর্তমান অধ্যক্ষ অধ্যাপক  ড. শামসুন্নাহার দায়িত্বপ্রাপ্ত হবার পর সকল শিক্ষক আশান্বিত হয়েছিলেন যে,এবার হয়তো ‘সুষ্ঠ নীতিমালা’ প্রণয়়ন হবে। কিন্তু অধ্যক্ষের দায়ি়ত্ব নেবার পর দেখা যায়় যে বিভিন্ন বিষয়ে় তিনি একাডেমিক কাউন্সিলকে পাশ কাটিয়ে একক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন ।

তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মেরও অভিযোগ রয়েছে, তিনি সরকারি পরিপত্রের তোয়াক্কা না করে, নিজের ইচ্ছে মতো বিশেষ করে একদিনের নিয়োগ পরীক্ষা ও ভর্তি পরীক্ষার কমিটি গঠন, ভিজিলেন্স এর দায়িত্ব বন্টন করছেন। সম্মানী বন্টনে ব্যপক আর্থিক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। এখানে উল্লেখ্য ইডেন মহিলা কলেজ ব্যতীত বাকি সরকারি প্রায় ছয় কলেজেই একই রকম নীতিমালায়় বিভিন্ন নিয়োগ ও ভর্তি পরীক্ষা পরিচালিত হয়। ঢাকার আশেপাশের কলেজগুলোতে একই বন্টন নীতিমালায়় সম্মানী বন্টিত হয়। শুধুমাত্র ইডেন মহিলা কলেজে এই নীতিমালা প্রণয়়ন করা যায়়নি।

অভিযোগ রয়েছে, যেখানে একজন কক্ষ প্রত্যবেক্ষক এক ঘন্টা এবং দেড় ঘন্টার পরীক্ষায়় ১৬০০/-টাকা এবং ১৮০০/-টাকা সম্মানী পান। সেক্ষেত্রে কোন কোন ক্ষেত্রে অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষ লক্ষাধিক এবং তার কাছাকাছি টাকা নিয়ে় থাকেন । কলেজের হেড ক্লার্ক এবং হিসাব রক্ষকও একজন কক্ষ প্রত্যবেক্ষকের চেয়ে ১০গুন থেকে ১২গুণ টাকা বেশি পেয়ে় থাকেন। ফলে শিক্ষকদের মধ্যে মারাত্মক ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়ে়ছে।

অতি সম্প্রতি অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষার বন্টন নীতির পরিবর্তন এনেছেন কিন্তু একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদনের প্রয়োজন বোধ করেননি । এ বিষয়ে তাকে  প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটা তার একান্ত নিজের সিদ্ধান্ত, তিনি ইচ্ছা করলে একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন নাও নিতে পারেন। এ কারণে শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। ভুক্তভোগি শিক্ষকরা এ বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিবের পদক্ষেপ কামনা করেছেন।