ঢাকা ১২:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মানুষ চায় ডিসেম্বরেই নির্বাচন- আমিনুল হক দিয়ামনি ই-কমিউনিকেশন পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন জয়ী এ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত পল্লবীতে নিজ নির্বাচনী এলাকার জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩ হাজার পরিবারের পাশে : আমিনুল হক নওগাঁয় জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত তারুণ্যের সমাবেশে তারেক রহমানের বার্তা- ” ডিসেম্বরেই চাই নির্বাচন “ নওগাঁয় মিডিয়া কাপ প্রীতি ফুটবল ম্যাচে প্রিন্ট মিডিয়া একাদশের দাপুটে জয় রূপনগর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তুর উদ্বোধন করলেন আমিনুল হক বুধবার সকালেই মুক্তি পাবেন জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম বিএনপি একটি অসাস্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চায় – আমিনুল হক টাকার বিনিময়ে ভিডব্লিউবির চাল বিতরণ, ১১ ইউপি সদস্য আটক

ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে

ফরিদপুর প্রতিনিধি :

ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার মেগচামী ইউনিয়নে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ওবায়দুর রহমানের বিরুদ্ধে আবাদি জমির মাটি কেটে বিক্রির বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এতে আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে কৃষিজমি। অন্যদিকে প্রভাবশালীরা আইনের তোয়াক্কা না করেই অবাধে চালাচ্ছে মাটি কেটে বিক্রির রমরমা এ ব্যবসা। অনেক ক্ষেত্রে জমির মালিকরা মাটি বিক্রিতে অস্বীকার করলে তাদেরকে দেখানো হচ্ছে ভয় ভীতি। সরজমিনে দেখা যায়, ৭নং মেগচামী ইউনিয়ন পরিষদের পাশেই ফসিল জমি থেকে এক্সকাভেটর (ভেকু) বসিয়ে কাটা হচ্ছে মাটি।

পশ্চিম পাশের খেতে রয়েছে গম, তার পাশে রয়েছে পিয়াজ ও মুশুরি খেত। তিন ফসলী মাঠে এভাবে মাটি কেটে বিক্রি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। সেই সাথে মাটি পরিবহনের সময় গাড়ির চাকায় পিস্ট হয়ে নষ্ট হচ্ছে ফসল। মাটি পরিবহনের সময় ধুলাতেও নষ্ট হচ্ছে ফসল। অন্যদিকে নষ্ট হচ্ছে বাড়ি ঘরের পরিবেশ। জানা যায়, মাটি ব্যবসায়ী ওবায়দুর রহমান ও মাসুদ ফকির কৃষকদের টাকার লোভ দেখিয়ে ফসলি জমিতে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করছেন বিভিন্ন বাড়ি-ভিটে, পুকুর ভরাট সহ ইটভাটায়। স্থানীয় বাসিন্দা ফজল আলী বলেন, দিনেরাতে মাটি কেটে নেওয়ার কারণে যেমন ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছে এলাকার ঘরবাড়ি। তেমনি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। এছাড়া মাটিবোঝাই ভারী ডাম্প ট্রাক চলার কারণে ধুলোবালিতে দূষিত হচ্ছে ওই এলাকার পরিবেশ। এসব মাটির ডাম্প ট্রাক ও গ্রামীন সড়কে নিষিদ্ধ থাকলেও দিনরাত ড্রামট্রাক দিয়ে ক্রেতার কাছে সরবরাহ করে যাচ্ছেন ওবাইদুর রহমান ও মাসুদ ফকির। স্থানীয় আরো কয়েকজন জানান, ওবায়দুর রহমান ক্ষমতাসীন দলের ক্ষমতা ব্যাবহার করে দিনের পর দিন ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার তিন ফসলি কৃষিজমিতে খননযন্ত্র (ভেকু) বসিয়ে মাটি কেটে স্থানীয় বসতবাড়ি ভরাটের কাজ করে আসছেন।

অন্যের ফসলি জমির ওপর দিয়ে ট্রাক চলাচলের জন্য বানানো হয়েছে রাস্তা, এসব রাস্তায় ভারি ট্রাক চলাচলের কারণে অন্যান্য জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে। জমির মালিক নিতিশ বিশ্বাস বলেন, আমার জমি চাষবাস করার লোক নাই। আর এখানে নিচু জায়গা। এজন্য আমার জমির মাটি এমনিতেই দিয়েছি তাদের দিয়েছি। এ বিষয়ে সরাসরি ওবায়দুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি মাটি কাটছি অনুমোদন নিয়ে। এখানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিজেও আসছিলেন। কিন্তু অনুমোদনের কোন কাগজ দেখাতে পারেননি। এ বিষয়ে উপজেলা মধুখালী নির্বাহী কর্মকর্তা মামনুন আহমেদ অনিকের কাছে মুঠো ফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি জানতাম না যেহেতু আপনার মাধ্যমে আমি জানতে পেরেছি অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মানুষ চায় ডিসেম্বরেই নির্বাচন- আমিনুল হক

ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে

আপডেট টাইম : ০৭:০৪:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪

ফরিদপুর প্রতিনিধি :

ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার মেগচামী ইউনিয়নে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ওবায়দুর রহমানের বিরুদ্ধে আবাদি জমির মাটি কেটে বিক্রির বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এতে আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে কৃষিজমি। অন্যদিকে প্রভাবশালীরা আইনের তোয়াক্কা না করেই অবাধে চালাচ্ছে মাটি কেটে বিক্রির রমরমা এ ব্যবসা। অনেক ক্ষেত্রে জমির মালিকরা মাটি বিক্রিতে অস্বীকার করলে তাদেরকে দেখানো হচ্ছে ভয় ভীতি। সরজমিনে দেখা যায়, ৭নং মেগচামী ইউনিয়ন পরিষদের পাশেই ফসিল জমি থেকে এক্সকাভেটর (ভেকু) বসিয়ে কাটা হচ্ছে মাটি।

পশ্চিম পাশের খেতে রয়েছে গম, তার পাশে রয়েছে পিয়াজ ও মুশুরি খেত। তিন ফসলী মাঠে এভাবে মাটি কেটে বিক্রি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। সেই সাথে মাটি পরিবহনের সময় গাড়ির চাকায় পিস্ট হয়ে নষ্ট হচ্ছে ফসল। মাটি পরিবহনের সময় ধুলাতেও নষ্ট হচ্ছে ফসল। অন্যদিকে নষ্ট হচ্ছে বাড়ি ঘরের পরিবেশ। জানা যায়, মাটি ব্যবসায়ী ওবায়দুর রহমান ও মাসুদ ফকির কৃষকদের টাকার লোভ দেখিয়ে ফসলি জমিতে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করছেন বিভিন্ন বাড়ি-ভিটে, পুকুর ভরাট সহ ইটভাটায়। স্থানীয় বাসিন্দা ফজল আলী বলেন, দিনেরাতে মাটি কেটে নেওয়ার কারণে যেমন ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছে এলাকার ঘরবাড়ি। তেমনি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। এছাড়া মাটিবোঝাই ভারী ডাম্প ট্রাক চলার কারণে ধুলোবালিতে দূষিত হচ্ছে ওই এলাকার পরিবেশ। এসব মাটির ডাম্প ট্রাক ও গ্রামীন সড়কে নিষিদ্ধ থাকলেও দিনরাত ড্রামট্রাক দিয়ে ক্রেতার কাছে সরবরাহ করে যাচ্ছেন ওবাইদুর রহমান ও মাসুদ ফকির। স্থানীয় আরো কয়েকজন জানান, ওবায়দুর রহমান ক্ষমতাসীন দলের ক্ষমতা ব্যাবহার করে দিনের পর দিন ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার তিন ফসলি কৃষিজমিতে খননযন্ত্র (ভেকু) বসিয়ে মাটি কেটে স্থানীয় বসতবাড়ি ভরাটের কাজ করে আসছেন।

অন্যের ফসলি জমির ওপর দিয়ে ট্রাক চলাচলের জন্য বানানো হয়েছে রাস্তা, এসব রাস্তায় ভারি ট্রাক চলাচলের কারণে অন্যান্য জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে। জমির মালিক নিতিশ বিশ্বাস বলেন, আমার জমি চাষবাস করার লোক নাই। আর এখানে নিচু জায়গা। এজন্য আমার জমির মাটি এমনিতেই দিয়েছি তাদের দিয়েছি। এ বিষয়ে সরাসরি ওবায়দুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি মাটি কাটছি অনুমোদন নিয়ে। এখানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিজেও আসছিলেন। কিন্তু অনুমোদনের কোন কাগজ দেখাতে পারেননি। এ বিষয়ে উপজেলা মধুখালী নির্বাহী কর্মকর্তা মামনুন আহমেদ অনিকের কাছে মুঠো ফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি জানতাম না যেহেতু আপনার মাধ্যমে আমি জানতে পেরেছি অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।