ঢাকা ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থমথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে চাকরি করে জাহিদুল পেয়েছে আলাদিনের চেরাগ বিভাগীয় মামলা নিষ্পত্তির পরও অফিসে অনুপস্থিত টেবুনিয়া বিএডিসি কর্মকর্তা পাবনার গণমানুষের অসাধারন এক অভিভাবকের নাম মফিজুল ইসলাম খাল পরিষ্কার অভিযানে আমিনুল হক: জনগণকে সঙ্গে নিয়েই পরিবর্তন সম্ভব আদমদীঘিতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুবদলের বৃক্ষরোপন পেশাজীবী পরিষদ পাবনা পৌরসভার উদ্যোগে রাসূল (সা:) প্রদর্শিত পানাহার পদ্ধতি শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত পাবনায় রনির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে মানববন্ধন পলাশে পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (সা.)’র জশনে জুলুস

বরগুনায় সাংবাদিক হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

আলমগীর হোসেন শুভ :
বরগুনায় সাংবাদিক তালুকদার মোঃ মাসউদকে প্রেসক্লাবে আটকে রেখে নির্যাতনের পর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে তার সজন ও এলাকাবাসী। মঙ্গলবার সকাল দশটা বরগুনা প্রেসক্লাবের সামনে ২ ঘন্টা ব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাবের সদস্য মুশফিক আরিফের সাথে বরগুনা প্রেসক্লাবে গিয়ে ক্যারাম খেলা শুরু করেন তালুকদার মাসউদ। প্রেসক্লাবে ক্যারাম খেলতে দেখে এনটিভির বরগুনা প্রতিনিধি সোহেল হাফিজ তালুকদার মাসউদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালি-গালাজ শুরু করেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্কের এক পর্যায়ে সোহেল হাফিজসহ অন্য আসামিরা প্রেসক্লাবের গেট বন্ধ করে মাসউদের ওপর হামলা চালায়। এসময় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও আসামিরা গেট তালাবদ্ধ করে রাখে। প্রায় এক ঘণ্টা প্রেসক্লাবে আটক থাকার পর বরগুনা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত বশির আলম প্রেসক্লাবে প্রবেশ করে তাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাপসাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনার ১৩ দিন পর শনিবার (২ মার্চ) রাত ১১ টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় গতকাল ৪ মার্চ বরগুনা সদর থানায় ১৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতর স্ত্রী সাজেদা তালুতদার।
নিহত সাংবাদিকের ছেলে তালুকদার তানহা বলেন,আমার বাবাকে সোহেল হাফিজ সহ তার লোকজন মেরে ফেলেছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।
নিহত সাংবাদিক তালুকদার মাসুদের মেয়ে তন্নি বলেন, ওরা আমার বাবাকে প্রেসক্লাবে তালা আটকে মারধর করেছে।  তখন আমার বাবা ওদের কাছে পানি চাইলে ওরা পানি পর্যন্ত দেয়নি। ওদের মারধরের কারণে আমার বাবা মারা গেছে। পুলিশ যেন দ্রুত আসামীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেএম মিজানুর রহমান বলেন, তালুকদার মাসুদের স্ত্রী সাজেদা তালুকদার বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনা এখন পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেপ্তার করা যায়নি। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ

বরগুনায় সাংবাদিক হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট টাইম : ০৭:৩৮:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪
আলমগীর হোসেন শুভ :
বরগুনায় সাংবাদিক তালুকদার মোঃ মাসউদকে প্রেসক্লাবে আটকে রেখে নির্যাতনের পর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে তার সজন ও এলাকাবাসী। মঙ্গলবার সকাল দশটা বরগুনা প্রেসক্লাবের সামনে ২ ঘন্টা ব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাবের সদস্য মুশফিক আরিফের সাথে বরগুনা প্রেসক্লাবে গিয়ে ক্যারাম খেলা শুরু করেন তালুকদার মাসউদ। প্রেসক্লাবে ক্যারাম খেলতে দেখে এনটিভির বরগুনা প্রতিনিধি সোহেল হাফিজ তালুকদার মাসউদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালি-গালাজ শুরু করেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্কের এক পর্যায়ে সোহেল হাফিজসহ অন্য আসামিরা প্রেসক্লাবের গেট বন্ধ করে মাসউদের ওপর হামলা চালায়। এসময় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও আসামিরা গেট তালাবদ্ধ করে রাখে। প্রায় এক ঘণ্টা প্রেসক্লাবে আটক থাকার পর বরগুনা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত বশির আলম প্রেসক্লাবে প্রবেশ করে তাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাপসাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনার ১৩ দিন পর শনিবার (২ মার্চ) রাত ১১ টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় গতকাল ৪ মার্চ বরগুনা সদর থানায় ১৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতর স্ত্রী সাজেদা তালুতদার।
নিহত সাংবাদিকের ছেলে তালুকদার তানহা বলেন,আমার বাবাকে সোহেল হাফিজ সহ তার লোকজন মেরে ফেলেছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।
নিহত সাংবাদিক তালুকদার মাসুদের মেয়ে তন্নি বলেন, ওরা আমার বাবাকে প্রেসক্লাবে তালা আটকে মারধর করেছে।  তখন আমার বাবা ওদের কাছে পানি চাইলে ওরা পানি পর্যন্ত দেয়নি। ওদের মারধরের কারণে আমার বাবা মারা গেছে। পুলিশ যেন দ্রুত আসামীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেএম মিজানুর রহমান বলেন, তালুকদার মাসুদের স্ত্রী সাজেদা তালুকদার বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনা এখন পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেপ্তার করা যায়নি। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।