এমামুল, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি-
বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে ছুরির আঘাতে বিশাল হোসেন (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় আদমদীঘি থানায় ফয়সাল, মারুফ সহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আহত বিশাল হোসেন সান্তাহার সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ও নওগাঁর বোয়ালিয়া ইউপির এনায়েতপুর গ্রামের এচাহাক সরদারের ছেলে। এরআগে বুধবার দুপুরে সান্তাহার শহীদ আহসানুল হক ডিগ্রী কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সান্তাহার
শহীদ আহসানুল হক ডিগ্রী কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করেন সান্তাহার ইউপির পশ্চিম ছাতনী গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে স্বাধীন। বুধবার সকাল ১০ টায় কলেজে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আসে। পরীক্ষা শেষ করে বাড়ি ফেরার সময় একই কলেজের ছাত্র ও সান্তাহার ইউপির ছাতনী হেলালিয়াহাট এলাকার মিলনের ছেলে ফয়সালের সঙ্গে কোন একটি বিষয়ে তার কথা-কাটাকাটি হয়। তখন স্বাধীন তার বন্ধু বিশাল হোসেনকে ফোন করে এই কলেজে আসতে বলেন। এরপর শিক্ষকরা এবিষয়ে তাদেরকে মিমাংসাও করে দেন। মিমাংসা শেষে কলেজের সামনে স্বাধীন পৌঁছাতে ফয়সাল ও পোঁওতা এলাকার বদার ছেলে মারুফ সহ অজ্ঞাতনামা ২৫/৩০জন দলবদ্ধ হয়ে এলোপাথারী ভাবে স্বাধীনকে মারপিট করে। এসময় স্বাধীনকে বাঁচাতে তার বন্ধু বিশাল এগিয়ে আসলে তাকেও মারপিট করে। একপর্যায়ে বিশালকে ছুরি দিয়ে কোমড়ের বাম পার্শ্বে আঘাত করলে প্রচুর রক্ত ক্ষরণে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় নওগাঁ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ঘটনায় আদমদীঘি থানায় স্বাধীন বাদী হয়ে ফয়সাল, মারুফ সহ অজ্ঞাতনামা ২৩ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।