‘জয় বাংলা ব্রিগেড’র জুম মিটিংয়ে সরকারকে উৎখাতের রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্টোপলিটন মাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম এ আদেশ দিয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. এনামুল হক দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার এই আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত ২৮৬ আসামির মধ্যে অনেকে বাংলাদেশে, আবার অনেকে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশে থাকা আসামিরা যেন দেশ ছেড়ে পলায়ন না করতে পারেন তার নিষেধাজ্ঞা এবং বিদেশে অবস্থান করা আসামিরা দেশে আসলে যেন আটক করা হয় সেটার আদেশ একান্ত প্রয়োজন।
শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গত ২৭ মার্চ আদালতে মামলাটি করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. এনামুল হক।
তদন্ত শেষে গত ৩০ জুলাই শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত ১৪ অগাস্ট চার্জশিট গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. রাব্বী আলমের নেতৃত্বে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর জুম মিটিংয়ে শেখ হাসিনাসহ কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। এ সময় শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদের কাছে দেশবিরোধী বক্তব্য দেন। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উৎখাতের নির্দেশ দেন। এ বক্তব্য সারা দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন খুলনার যুবলীগ নেতা পারভেজ খান ইমন, চট্টগ্রাম ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ প্রধান কবিরুল ইসলাম আকাশ, ‘জয় বাংলা ব্রিগেড বরিশাল বিভাগের অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সোহানা পারভীন রুনা, হাফিজুর রহমান ইকবাল, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মধু, এলাহী নেওয়াজ মাছুম, সাজ্জাদুল আনাম।