ঢাকা ০৪:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
তরুণদের সম্পৃক্ত করে জলবায়ু অভিযোজন জোরদারের উদ্যোগ রশুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি নেয়াকে কেন্দ্র করে অভিভাবকদের ক্ষোভ নওগাঁয় সাংবাদিকদের ঈদ পুনর্মিলনী সভা অনুষ্ঠিত শাহআলী থানায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা না নিতে থানা ঘেরাও নওগাঁয় সাড়ে ৩ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার- ৩ বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারতের রূপনগরে বিএনপির বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি: ২০ হাজার নিমগাছ রোপণের উদ্যোগ ঘোষণা আমিনুল হকের দিয়ামনি ই-কমিউনিকেশন এর নতুন অফিস উদ্বোধন মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা মামলা করায় বাদী কারাগারে মাগুরা জেলা পুলিশের উদ্যোগে হাজীপুর ইউনিয়নে সিসিটি টিভি ক্যামেরা চালু

আদমদীঘিতে হত্যার উদ্দেশ্যে গৃহবধূকে মারপিট: পুলিশের নেই তৎপর

আদমদীঘি প্রতিনিধি:

বগুড়ার আদমদীঘিতে জমিসংক্রান্ত বিষয়ে বুলুন নেছা নামের এক গৃহবধূকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় হাসুয়ার আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনাটি ঘটে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কদমা গ্রামে। এ ঘটনায় গত শনিবার (১০মে) দুপুরে ভুক্তভোগীর স্বামী ইসাহক বাদী হয়ে চার জনের নামে মামলা দায়ের করেন। এদিকে মামলা দায়েরের তিন দিনেও নেই পুলিশের তৎপরতা। ফলে আসামীরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় আতঙ্কের মধ্যে দিনযাপন করছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কদমা গ্রামে মৃত আনছার আলীর ছেলে ইসাহকের সাথে তার ছোট ভাই এরশাদ আলীর জমিসংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো। গত বুধবার (৭মে) রাতে এই জের ধরে বাঁশের লাঠি, লোহার রড, হাসুয়া নিয়ে জোরপূর্বক তার বসতবাড়িতে প্রবেশ করে জমির ভাগ বন্টন নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এরশাদ। এসময় ইসাহক তাদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে একপর্যায়ে এরশাদ ও তার পরিবারের লোকজন তাকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর শুরু করে। তখন ইসাহকের স্ত্রী বুলুন নেছা স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকে লোহার রড দিয়ে মারধর ও হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় হাসুয়া দিয়ে সজোড়ে আঘাত করলে রক্তাক্ত অবস্থায় গুরুতর আহত হন তিনি। পরে তাদের চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে আসলে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। সেখানে স্ত্রী বুলুন নেছার অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় গত শনিবার (১০মে) দুপুরে ভুক্তভোগীর স্বামী ইসাহক নিকটবর্তী থানায় এরশাদ, মুসা সহ চার জনের নামে মামলা দায়ের করেন। এদিকে মামলার তিন দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনো কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি বলে জানান ভুক্তভোগীর পরিবার। ফলে পুলিশের এমন ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।

আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামী গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

ট্যাগস

তরুণদের সম্পৃক্ত করে জলবায়ু অভিযোজন জোরদারের উদ্যোগ

আদমদীঘিতে হত্যার উদ্দেশ্যে গৃহবধূকে মারপিট: পুলিশের নেই তৎপর

আপডেট টাইম : ০২:১৩:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

আদমদীঘি প্রতিনিধি:

বগুড়ার আদমদীঘিতে জমিসংক্রান্ত বিষয়ে বুলুন নেছা নামের এক গৃহবধূকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় হাসুয়ার আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনাটি ঘটে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কদমা গ্রামে। এ ঘটনায় গত শনিবার (১০মে) দুপুরে ভুক্তভোগীর স্বামী ইসাহক বাদী হয়ে চার জনের নামে মামলা দায়ের করেন। এদিকে মামলা দায়েরের তিন দিনেও নেই পুলিশের তৎপরতা। ফলে আসামীরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় আতঙ্কের মধ্যে দিনযাপন করছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কদমা গ্রামে মৃত আনছার আলীর ছেলে ইসাহকের সাথে তার ছোট ভাই এরশাদ আলীর জমিসংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো। গত বুধবার (৭মে) রাতে এই জের ধরে বাঁশের লাঠি, লোহার রড, হাসুয়া নিয়ে জোরপূর্বক তার বসতবাড়িতে প্রবেশ করে জমির ভাগ বন্টন নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এরশাদ। এসময় ইসাহক তাদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে একপর্যায়ে এরশাদ ও তার পরিবারের লোকজন তাকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর শুরু করে। তখন ইসাহকের স্ত্রী বুলুন নেছা স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকে লোহার রড দিয়ে মারধর ও হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় হাসুয়া দিয়ে সজোড়ে আঘাত করলে রক্তাক্ত অবস্থায় গুরুতর আহত হন তিনি। পরে তাদের চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে আসলে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। সেখানে স্ত্রী বুলুন নেছার অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় গত শনিবার (১০মে) দুপুরে ভুক্তভোগীর স্বামী ইসাহক নিকটবর্তী থানায় এরশাদ, মুসা সহ চার জনের নামে মামলা দায়ের করেন। এদিকে মামলার তিন দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনো কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি বলে জানান ভুক্তভোগীর পরিবার। ফলে পুলিশের এমন ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।

আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামী গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।